সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন বিধানের ফলোয়াররা কুফরি মতবাদের রাষ্ট্রকে পছন্দ করে বেশি। তারা অভিবাসনের জন্য ইউরোপের রাষ্ট্রকে বেশি পছন্দ করে। ইউরোপের প্রগতিবাদী, কল্যানরাষ্ট্র তাদের ধর্ম ভাইদের রাষ্ট্রের চেয়ে ভাল সকল দিক দিয়েই।
এর কারণ হচ্ছে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো মারাত্মক বর্ণবাদী। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ রাষ্ট্রই অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয় না। নাগরিকত্বের শর্তও খুব কঠিন৷ তারা নিজেদের উচু জাতের মুসলমান ভাবে। আফ্রিকা আর এশিয়ার দরিদ্র অঞ্চল থেকে তারা শুধু শ্রমিক নেয়। তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করে, মানবেতর জীবন যাপন করায়। ৩০ বছর, ৪০ বছর থাকলেও সেসব দেশের নাগরিকত্ব এরা পায় না।
পক্ষান্তরে ইউরোপের দেশগুলো এসব ক্ষেত্রে অনেক উদার। তারা বুঝে যখন কেউ জন্মভূমি, আত্নীয় স্বজন ছেড়ে ভিন দেশে আসে, তারা নিজেদের দেশের চেয়ে ভালো জেনেই সেসব দেশে আসে। তারা সুযোগ দেয় এদের নাগরিক হওয়ার। আইন মেনে চললে, ঠিকঠাকমতো কর আদায় করলে নাগরিকত্ব পাবেন।
সমস্যা হয় যখন তারা সেসব দেশ থেকে ইউরোপে নাগরিকত্ব পেয়েই দাবি করে বসেন ইউরোপকে ইসলামী আইন মেনে চলতে হবে। আঞ্জেম চৌধুরীদের মত হিপোক্রেটদের সাথে মিলে তারাও এসব দাবিতে মুখর হন। আপনি যে ইসলামী রাষ্ট্র ছেড়ে ইউরোপ গেলেন সে রাষ্ট্রের মতো ইউরোপই যদি চান তবে নিজের দেশ ছাড়লেন কেন?
দ্বিতীয় আরেক শ্রেণি আছে যারা বুঝে সকল দেশের নিজস্বতা আছে। তারা নিজেদের আইন বদলে ইসলামী আইন আনবে না। এ শ্রেণির লোকেরা নিজেদের জীবনে কট্টরপন্থী হয়ে যান। তারা নিজের পরিবারে প্রগতিবাদী সকল ধারণাকে নিষিদ্ধ করে দেন। তারা নিজের বাচ্চাকাচ্চাদের শেখান ইউরোপিওরা কাফির। তাদের সাথে মিশলে ধর্মের ক্ষতি হবে।
দুই শ্রেণিরই কালচারাল এসিমিলেশন হয় না। তারা নিজস্ব কম্যুনিটি বানিয়ে বসে থাকেন। সেসব কম্যুনিটি নিজেদের কোর্ট, নিজেদের স্কুল বানায়। সেসব কোর্ট আর স্কুলে কাজ করে উগ্রবাদী ধর্মীয় শিক্ষকরা। এরা এসব বাচ্চাদের শেখায় উগ্রবাদ। এই vicious circle শুধু জঙ্গিবাদের জন্ম দেয়।
পশ্চিমা সহনশীলতা কিংবদন্তি। কিন্তু উগ্রবাদের সাথে সহনশীলতা আত্মঘাতী। সংখ্যালঘুর অসহিষ্ণুতাও অসহিষ্ণুতাই। পশ্চিমা সমাজে মডারেট মুসলিমদের পাশাপাশি এক্স-মুসলিমদেরও প্রমোট করা উচিত। মুসলিমদের মধ্যে ইসলাম নিয়েই ডিবেট আর ডিসকাশন হওয়া উচিত।