ভারতের কিছু অংশে ভিন্ন বর্ণে বা ভিন্ন ধর্মে প্রেমের কারণে পরিবারের সদস্যরা মিলে পরিবারের মেয়েকে হত্যা করার কিছু ঘটনা ঘটেছে। এটা দেখে অনলাইনে বর্বর মুহাম্মদের বর্বর উম্মতেরা খুব সমালোচক, সমাজ সংস্কারক সেজে বসে আছেন৷
এই ব্যাপারটাকে বলা হয় অনার কিলিং৷ এই ধারণা একটা ধর্মবাদী পুরুষতান্ত্রিক ধারণা৷ নারী সম্মান, বা তার পরিবারের সম্মান নারীর লিঙ্গে থাকে এমন অমূলক একটা ধারণা তারা ধরে বসে আছে। আগেকার দিনের সিনেমা নাটকে বলা হত “ইজ্জত লুটে নিয়েছে”, যেন ইজ্জত একটা বস্তু যা কেউ কেড়ে নিতে পারে। আর এই ইজ্জত নিয়ে গেলে মানুষ সমাজে হেয় হয়ে যায়! নারীকে পণ্য হিসেবে দেখার কারণে মানুষ এমন উদ্ভট কথায় বিশ্বাস করতে পারে।
কারো ঘরে চোর পরলে কেউ বলে না তার সম্মানহানি হয়েছে। কেউ সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেলে কেউ ভাবে না সম্মান চলে গেছে৷ ছিনতাইয়ে ভাবে না।
তো, বর্বর মুহাম্মদের উম্মতের কথা বলছিলাম। তারা হিন্দুদের নিয়ে হাসাহাসি করে। মূর্খের দল একথা জানে না যে ইসলামে অনার কিলিংয়ের অনুমতি আছে। পাকিস্তানে অহরহ এসব ঘটে৷ কোরান, হাদিসে এর বিবরণ আছে-
অতঃপর তারা চলতে লাগল। অবশেষে যখন তারা এক বালকের সাক্ষাৎ পেল, তখন সে তাকে হত্যা করল। সে বলল, ‘আপনি নিষ্পাপ ব্যক্তিকে হত্যা করলেন, যে কাউকে হত্যা করেনি? আপনি তো খুবই মন্দ কাজ করলেন’। [ কোরআন সূরা ১৮ আয়াত ৭৪ ]
‘আর বালকটির বিষয় হল, তার পিতা-মাতা ছিল মুমিন। অতঃপর আমি আশংকা* করলাম যে, সে সীমালংঘন ও কুফরী দ্বারা তাদেরকে অতিষ্ঠ করে তুলবে’। * তাঁর আশংকা নিছক ধারণা ভিত্তিক ছিল না, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি নিশ্চিত জানতে পেরেছিলেন। [ কোরআন সূরা ১৮ আয়াত ৮০ ]
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪৭। তাকদীর
পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রত্যেক শিশু ইসলামী স্বভাবের উপর জন্মানোর মর্মার্থ এবং কাফির ও মুসলিমদের মৃত শিশুর বিধান
৬৬৫৯-(২৯/২৬৬১) আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ্ ইবনু কা’নাব (রহঃ) ….. উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই যে ছেলেটিকে খাযির (আঃ) (আল্লাহর আদেশে) হত্যা করেছিলেন তাকে কাফিরের স্বভাব দিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছিল। যদি সে জীবিত থাকত তাহলে সে তার পিতামাতাকে অবাধ্যতা ও কুফুরী করতে বাধ্য করত।
অতঃপর তারা চলতে লাগল। অবশেষে যখন তারা এক বালকের সাক্ষাৎ পেল, তখন সে তাকে হত্যা করল। সে বলল, ‘আপনি নিষ্পাপ ব্যক্তিকে হত্যা করলেন, যে কাউকে হত্যা করেনি? আপনি তো খুবই মন্দ কাজ করলেন’। [ কোরআন সূরা ১৮ আয়াত ৭৪ ]
‘আর বালকটির বিষয় হল, তার পিতা-মাতা ছিল মুমিন। অতঃপর আমি আশংকা* করলাম যে, সে সীমালংঘন ও কুফরী দ্বারা তাদেরকে অতিষ্ঠ করে তুলবে’। * তাঁর আশংকা নিছক ধারণা ভিত্তিক ছিল না, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি নিশ্চিত জানতে পেরেছিলেন। [ কোরআন সূরা ১৮ আয়াত ৮০ ]
এই বিষয়টি সহিহ হাদিসেও পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে, [5]
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪৭। তাকদীর
পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রত্যেক শিশু ইসলামী স্বভাবের উপর জন্মানোর মর্মার্থ এবং কাফির ও মুসলিমদের মৃত শিশুর বিধান
৬৬৫৯-(২৯/২৬৬১) আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ্ ইবনু কা’নাব (রহঃ) ….. উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই যে ছেলেটিকে খাযির (আঃ) (আল্লাহর আদেশে) হত্যা করেছিলেন তাকে কফিরের স্বভাব দিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছিল। যদি সে জীবিত থাকত তাহলে সে তার পিতামাতাকে অবাধ্যতা ও কুফুরী করতে বাধ্য করত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫২৫, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
স্ত্রীকে পরপুরুষের সাথে দেখলে হত্যা
নবী মুহাম্মদের একজন সাহাবীর নাম ছিল সা’দ ইবনু উবাদাহ্। উনি বলেছিলেন, উনার স্ত্রীকে উনি পরপুরুষের সাথে দেখলে ”তাকে আমার তরবারীর ধারালো দিক দিয়ে তার উপর আঘাত হানব”। নিজের সম্মান এবং গৌরব প্রতিষ্ঠার জন্যেই তিনি এরকম বলেছিলেন। তিনি সাক্ষী উপস্থিত কিংবা বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই সরাসরি খুন করে ফেলার কথাই খুব আত্মবিশ্বাসের সাথেই বলেছিলেন। এই কথা মুহাম্মদের কাছে পৌঁছালে উনি সা’দ ইবনু উবাদাহ্ এর খুব প্রশংসা করে বলেছিলেন, সা’দ ইবনু উবাদাহ্ খুবই আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মানুষ। [6] [7]
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
২০। লি’আন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৬৫৫-(১৬/…) আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ….. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সা’দ ইবনু উবাদাহ্ (রাযিঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! যদি আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কোন পুরুষকে দেখতে পাই তবে চারজন সাক্ষী উপস্থিত না করা পর্যন্ত আমি কি তাকে ধরব না? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, পারবে না। তিনি (সা’দ) বললেনঃ এমনটি কিছুতেই হতে পারে না, সে মহান সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আবশ্য আমি তার (চারজন সাক্ষী উপস্থিত করার) আগেই কাল বিলম্ব না করে তার প্রতি তলোয়ার হানব। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা শোন, তোমাদের নেতা কী বলছেন। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় আত্মমর্যাদার অধিকারী। আর আমি তার চাইতেও অধিকতর আত্মমর্যাদাশীল এবং আল্লাহ আমার চাইতেও অধিক মর্যাদাবান। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৬২১, ইসলামিক সেন্টার ৩৬২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ ছেলেকে খুনের অপরাধে বাবাকে হত্যা করা যাবে না।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৬৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ইসলামে থাকলেই যে হিন্দুদের ব্যাপারটা ঠিক হয়ে যাবে, বা হিন্দুদের দোষ কমে যাবে- বিষয়টা মোটেও এমন না। তবে চালুনি যেন সুঁইকে পাছার ছিদ্রের জন্য হাসাহাসি না করে, এই চাই আর কি!