ট্রাইবুনাল-১ এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতিটবু নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করার পর থেকেই মউদুদ আহমেদ, খোন্দকার মাহবুবুদ্দিন, জয়নাল আবেদিন (এরা প্রত্যেকেই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত) নতুন একটাআওয়াজ তুলছেন। সেটা হল পদত্যাগকারী বিচারপতি যেসব সাক্ষ্য রেকর্ড করেছেন সব বাতিল করতে হবে । মউদুদ এক ধাপ এগিয়ে, বলেছেন এই ট্রায়াল void ab initio অর্থাৎ শুরু থেকেই বাতিল। এ প্রসঙ্গে ড. শাহদিন মালিক, ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালিদ, রাস্ত্রপক্ষের কৌঁসুলি রানা দাশগুপ্ত, ঢাবির আইনের সহযোগী অধ্যাপক শেখ কার্জন সবার বক্তব্য শুনলাম। উনারা সবাই বলেছেন, নতুন করে ত্রাইয়াল শুরু করার কোন কথাই আইনে বলা নেই, দরকারও নেই।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বা সদস্য পরিবর্তন হলে আইন অনুযায়ী পূর্ববর্তী বিচারকের অধীনে যতদূর বিচার কাজ সমাপ্ত হয়েছে সেখান থেকেই বিচার কাজ শুরু হবে । এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইন অর্থাৎ The International Crimes Tribunals Act,1973 এর ধারা-৬ পুরো ব্যাপারটা খোলাসা করার জন্য যথেষ্ট মনে হয়েছে যেখানে ৬(৬) বলা হয়েছে
‘A Tribunal shall not, merely by reason of any change in its membership or the absence of any member thereof from any sitting, be bound to recall and re-hear any witness who has already given any evidence and may act on the evidence already given or produced before it. এটার সাথে একয় ধারার ৪ উপধারা অর্থাৎ ৬(৪) অনুযায়ী, ‘If any member of a Tribunal dies or is, due to illness or any other reason, unable to continue to perform his functions, the Govt. may by notification in the official gazette, declare the office of a such member to be vacant and appoint thereto another person qualified to hold the office.
তার মানে আইনেই বলা আছে, নতুন করা কোন কিছু শুরু করার দরকার নেই এবং সরকার একটা গেজেট নটিফিকেসানের মাধ্যমে নতুন বিচারক নিয়োগ দিয়ে পূর্ববর্তী বিচারক যেখানে শেষ করেছেন সেখান থেকে নতুন বিচারক বিচারকাজ শুরু করতে পারবেন। বাংলাদেশে অন্য সব বিচারকার্য এভাবেই হয়ে আসছে । তাহলে, মউদুদ, মাহবুব, জয়নাল গং ইন্তারপ্রেতিসানের নামে যা করলেন সেটা স্রেফ মিথ্যাচার এবং আইনের অপব্যাখ্যা ।
বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই মউদুদ, মাহবুব গংরা এটা বানচাল করার নানামুখী ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচারে লিপ্ত। দলের পা চাটা কুত্তা হিসেবে আর যাই হওয়া যাক, অন্তত স্বাধীন পেশাজীবী হওয়া যায়না ।