নতুন প্রধান বিচারপতি স্যার খেলা দেখানো শুরু করে দিসেন। গত বছরের ৩০ আগস্ট জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ করে দেয়ার পর যুদ্ধাপরাধ মামলার আর কোন শুনানি হয় নাই আপীল বিভাগে। আজ মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনে শুনানি শুরু হবার কথা। জামায়াত নেতা এটিএম আজহার, জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ও জামায়াত নেতা আবদুস সুবহানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল শুনানির জন্য ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
পাবনা জেলায় শান্তি কমিটির নেতা সুবহান, রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার এ টি এম আজহারুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিজের নামে ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনকারী হবিগঞ্জ মহকুমার রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার। তিনজনই ট্রাইব্যুনাল থেকে ফাঁসির দণ্ড নিয়ে এসেছে। অতীত অভিজ্ঞতা বলে আমাদের নতুন প্রধান বিচারপতি স্যার আপীল বেঞ্চের সদস্য থাকাকালীন সময়ে এমনকি একটি যুদ্ধাপরাধ মামলাতেও ফাঁসির রায় দেননি। আমি জানি না এই তিনজনের বেলাতেও একই নিময় খাটানো হবে কি না।
আপনাদের একটু একজনের কথা যদি আলাদা করে বলি তাহলে জল কেন ঘোলা করছি বুঝতে পারবেন। দুর্ধর্ষ ‘কায়সার বাহিনী’র পধান সৈয়দ কায়সার ট্রাইব্যুনাল থেকে ৭টি আলাদা আলাদা কেইসে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছে। এই সাত মামলায় কায়সারের হাতে নিহত মোট মানুষের সংখ্যা হবে দুই শতাধিক। প্রিয় পাঠক রাজাকা কমান্ডার সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত সাহেবের ভায়রা ভাই।
আমি কখনোই এমন দাবী করবো না মুহিত সাহেব নিজের ভায়রা-র পক্ষাবলম্বন করেছেন, তবে এটাও তো সত্যি কায়সারের মত চিহ্নিত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধেও একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি মন্ত্রী মহোদয়।