ভয়ঙ্কর কিছু অপেক্ষা করছে নাতো?

লক্ষ্য করে দেখেছেন কি- 
খুনি ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনটা সম্ভবত প্রশাসনিক অলিখিত নিয়মে পরিনত হয়ে গেছে।

দির্ঘমেয়াদী ক্ষমতায় থাকার প্লানের কারনে আওয়ামী লীগ সবাইকে হাতে রাখার যে কৌশলটা বেছে নিয়েছে- তাতে কি প্রশাসনিক সিস্টেম ভেঙ্গে পড়েছে?

আমার ধারনা শেখ হাসিনা নিজেও বুঝতে পারছে প্রশাসনিক সিস্টেম বিকল হয়ে গেছে, তাই থানার একজন সাধারন ওসির কাজটাও তার করতে হচ্ছে।

৭৫ এর বঙ্গবন্ধুকে আমার কাছে মনে হয়েছে – পথহারা দিশেহারা ফাঁদে পড়া এক উদ্ভ্রান্ত প্রশাসক। যে সমাজতন্ত্রীর প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে তিনি রক্ষি বাহিনী দিয়ে হত্যা করেছিলেন, অথচ ৭৫ এ তিনি সেই সমাজতন্ত্রই চালু করতে চাইলেন।

শেখ হাসিনা এতকাল স্যাকুলাদের দমন পিড়ন করে মোল্লাদের উপরে টেনে আনলেন, অথচ ঐদিন তিনি বোরখার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনা করলেন। শেখ হাসিনা নিজেও জানেন আখেরে মোল্লারা তাকে একজন নারী প্রশাসক হিসেবে মেনে নেবে না, কিন্তু মোল্লাদের তিনি যে সাহস ও শক্তি তৈরী করে দিয়েছেন, তাদের খেপালে কি শেখ হাসিনার সাধ্য আছে টিকে থাকা ও বেঁচে থাকা?

পরিবার, সমাজ, প্রশাসন তথা সকল কাঠামোই ভেঙ্গে পড়ছে দেশের। 
আরো ভয়ঙ্কর কিছু অপেক্ষা করছে নাতো?