ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধর্ষকদের অভয়ারণ্য!

এটা ২০০১ সালের ঘটনা ।  ১৪ বছরের নবম শ্রেণীতে পড়া পূর্ণিমাকে ধর্ষণ করতে এসেছিলো ১০-১২ জনের একটি দল। এই টুকু মেয়েটা এতজনের অত্যাচার সহ্য করতে পারবে না দেখে পূর্ণিমার মা কান্না করতে করতে বলেছিলেন— ” বাবারা আমার মেয়েটা অনেক ছোট, সে মরে যাবে, তোমরা একজন একজন করে আসো “

আর এখন ২০২১ সাল । কোন পরিবর্তন কি পাচ্ছেন ?  

হ্যা, অবশ্যই পরিবর্তন হয়েছে । ইন জেনারেল তো ধর্ষন হচ্ছেই, বরং ২০২০ সালে এসে এখন মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দির,গীর্জাতেও ধর্ষণ চলতেছে গণহারে । 

সেই ৭১ থেকে শুরু, চলতেছে এখনও । দেশ স্বাধীন হয়েছে শুধু ভাষার পরিবর্তনের মাধ্যমে । আগে ছিলো উর্দু আর এখন হয়েছে বাংলা । এছাড়া আর কোন পরিবর্তন আমার চোখে পড়ে নাই । গণধর্ষণ আগেও ছিলো, লুন্ঠন আগেও ছিল, হিন্দুদের ঘরবাড়ি পুড়ানো আগেও ছিলো, বৈষম্য আগেও ছিলো, ধর্ম নির্ভর দেশ পরিচালনা আগেও ছিলো, ক্ষমতা দখলে মারামারি-হানাহানি-হত্যা আগেও ছিল । 

৭১ এর আগে ছিলো আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেটা এখন আর নেই, ভাষার পরিবর্তন ছাড়া এমন কি আছে যেটা স্বাধীন হওয়ার পর আপনি পেয়েছেন বলুনতো ? আর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ সংগঠনের জন্য এবং ধর্ষকদের এক ধরনের অভয়ারণ্য!