মুমিনদের ধর্ম পরীক্ষা সিরিজ: ইসলাম ধর্ম বনাম বিজ্ঞান – (পর্ব – ১)

 

মুমিনদের ধর্ম পরীক্ষা সিরিজ
————————————————————————–
ইসলাম ধর্ম বনাম বিজ্ঞান – (পর্ব – ১)
————————————————————————–
(প্রশ্ন – ১)
কুরানের একটা সিঙ্গেল আয়াতও খুঁজে পাওয়া যায় না যা ইঙ্গিত দেয় যে পৃথিবী গোলাকার (স্ফেরিক্যাল) বরং এটা নির্দেশ করে যে পৃথিবী সমতল (like Carpet) (Quran 15:19, 20:53, 43:10, 50:7, 51:48, 71:19, 78:6, 79:30, 88:20, 91:6, 2:22, 18:86, 18:47) ! তাহলে আপনি কিভাবে দাবি করেন কুরান সকল বিজ্ঞানের উৎস ?
(প্রশ্ন – ২)
একজন মুসলিমের জন্যে রোজা ফরজ করা হয়েছে (fourth Pillar of Islam) (Quran 2:183, 2:184, 2:187 Sahih Bukhari 1:2:7, 6:60:40 Sahih Muslim 1:9) যা সূর্যের উদয়-অস্তের সাথে সম্পর্কিত (24 hour cycle) ! কিন্তু আল্লাহ উত্তর এবং দক্ষিন মেরুর বাসিন্দাদের ব্যাপারে কিছু ভেবে দেখেননি ! আপনার কি মনে হয় না যে এটা তখনই সম্ভব যখন তিনি মনে করবেন পৃথিবীর সর্বত্র একই সময়ে দিন-রাত্রি ঘটে (অর্থাৎ পৃথিবী সমতল) ?
(প্রশ্ন – ৩)
কুরান নির্দেশ দেয়, প্রার্থনার সময় একজন মুসলিম যেখানেই থাকুক না কেন তাকে কিবলার (কাবা) দিকে মুখ ফেরাতে হবে (Quran 2:144) । কিন্তু এটা একমাত্র সমতল পৃথিবীর মডেলেই সম্ভব, কেননা পৃথিবী গোলাকার হওয়ায় প্রার্থনার সময় তার মুখ থাকবে আকাশের দিকে । যদি তিনি মক্কার বিপরীত পৃষ্ঠে অবস্থান করেন তাহলে কিবলা থাকবে পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে সোজা নিজের দিকে । এর থেকে কি এটাই প্রতীয়মান হয় না যে কুরান মনে করে পৃথিবী সমতল ?
(প্রশ্ন – ৪)
কুরান বলে পৃথিবীর গঠন বিছানা বা কার্পেট এর মত ( Quran 15:19, 20:53, 43:10, 50:7, 51:48, 71:1978:6, 79:30, 88:20 and 91:6) ! কিন্তু কেউ কখনো স্ফেরিক্যাল কার্পেট দেখেনি ! এখন কথা হল কেন আল্লাহ পৃথিবীর গঠনের জন্যে “Kurah” (Arabic for spherical) শব্দ খানা ব্যবহার করলেন না ?

Print

(প্রশ্ন – ৫)
কুরান (Quran 36:38-40, 13:2, 18:86, 18:90) এবং হাদিস (Sahih Bukhari 4:54:421) এর বিবৃতি অনুযায়ী এটাই প্রতীয়মান হয় যে, সূর্য একটি সমতল পৃথিবীর চারিদিকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবর্তন করে এবং রাতের বেলা আল্লার আরশের নিচে অবস্থান করে ! এটাকে কি আপনার বিজ্ঞানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে মনে হয় ?
(প্রশ্ন – ৬)
কুরান হাদিসের বিবৃতি অনুযায়ী আমাদের মহাবিশ্ব নিচের ছবির মত (Quran 43:10, 50:7, 16:15, 70:6-7, 16:15, 31:10, 65:12, 2:29, 41:12, 67:3, 71:15, 21:32, 34:9, 13:2, 11:7, 37:6-7, 21:33, 36:38-40, 18:86, 18:90, 39:5, 67:5, 57:4, 71:16, 2:255, 40:15 Sahih Bukhari 4:54:421, 6:60:326-327, 4:54:414 Abu Dawud 2:475) ! এটাকে কি আপনার কোনভাবেই বিজ্ঞান সম্মত বলে মনে হয় ?
(প্রশ্ন – ৭)
‘আকাশ’ কি কঠিন পদার্থের তৈরি কোন কিছু (Quran 21:32, 34:9, 13:2, 6:35) ?
(প্রশ্ন – ৮)
কুরানে বর্নিত আকাশ : আল্লাহ আকাশকে করেছেন ছাদ (Quran 2:22) দৃশ্যমান স্তম্ভ ব্যাতিত (Quran 13:2) যাতে কোন ছিদ্র নেই (Quran 50:6) নেই কোন ফাটল (Quran 67:3), যা স্থির রাখা হয়েছে যেন টলে না যায় (Quran 35:41) বা ভূপৃষ্টে পতিত না হয় (Quran 22:65), যা একসময় গুটিয়ে নেওয়া হবে (Quran 21:104 ) ! তিনি চাইলেই আকাশ কে করবেন খন্ড বিখন্ড (Quran 17:92), যা মানুষের ওপর পতিত করবেন (Quran 34:9) ! কেয়ামতের দিন আকাশ হবে ছিদ্র যুক্ত (Quran 77:9) সৃষ্টি হবে বহু দরজা (Quran 78:19) ! এর পরেও কি আপনার মনে হয় কুরানের আয়াতের সাথে বিজ্ঞানের কোন সম্পৃক্ততা রয়েছে ?
(প্রশ্ন – ৯)
আল্লাহ কি আসলেই পৃথিবীকে এমন ভাবে স্থির রেখেছেন যাতে তা টলে না যায় (Quran 35:41, 40:64) ?
(প্রশ্ন – ১০)
কুরানের কোন আয়াতই নির্দেশ করে না পৃথিবী ঘুর্নায়মান ! বরং সর্বত্র রয়েছে সূর্য আর চন্দ্রের নিয়ম করে আবর্তনের কথা (Quran 13:2, 31:29, 36:38-40, 21:33, 16:12, 14:33, 39:5, 35:13, 55:5, 2:258, 18:86-90) ! এটা কি এই প্রমান করে না যে কুরান মনে করে পৃথিবী স্থির (যাকে কেন্দ্র করে সূর্য-চন্দ্র ঘুরছে) ?