শ্রোতারা শীতের মাঝে নিচে বসে থাকে আর উপরে স্টেজে নরম চেয়ারের উপর বসে থাকেন হুজুর । কেউ কেউ গরম চা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আবার কেউ কেউ হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে । ঠিক এই রকম একটা সিচুয়েশনে ওয়াজ মাহফিলে সহজ সরল মানুষের সামনে বক্তব্য দিয়ে যুক্তিবাদী খেতাব পাওয়া লোকরা কোন টকশোতে বা লাইভ শোতে একটা যৌক্তিক কথা বলার ক্ষমতা রাখেন না ।
হেফাজতে ইসলাম নাম দিয়ে পুরো দেশের ইসলামকে হেফাজতের দায়িত্ব কওমী মোল্লারাই যেনো নিয়ে গেছে । দেশে কিন্তু কওমী আদর্শের বাইরেও অন্য মতের ইসলামিক অনেক আলেম রয়েছেন । যেমন, আলিয়া মতাদর্শের লোকরা কিন্তু হেফাজতে ইসলাম সংগঠনের কোন দায়িত্ব পায় না । সংখ্যায় কম হওয়ায় নামের আগে মাওলানা, মুফতি টাইটেল থাকা সত্ত্বেও অনেক আলেমই হেফাজতে ইসলামের স্থায়ী কমিটিতে স্থান করে নিতে পারেন না । কারণ একটাই যে, ইসলাম ধর্মকে হেফাজত করতে হলে আপনাকে কওমী আদর্শের মতাদর্শে থাকতে হবে ।
ধর্ম একটা ব্যক্তিগত আবেগ । আর এই আবেগকে পুঁজি করে সেটাকে কাজে লাগাইতেছে একমাত্র কওমী মাদ্রাসার আলেমরাই । বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুরোদেশের মুসলিমই একটা রাজনৈতিক দলের অধীনে চলে যাচ্ছে । যে দলটির নাম হেফাজতে ইসলাম ।
দেশের সকল মুসলিমদের উচিত ধর্মের নামে অসভ্যতা প্র্যাকটিস বন্ধ করা নয়তো সভ্যদেশে বাংলাদেশের মুসলিমদের পরিচয়টা আর শান্তিতে থাকবে না ।