বিশ্বজিতের খুনী

বিশ্বজিতের এক খুনি রাজন তালুকদারের ফেইসবুক একাউন্ট দেখলাম। প্রোফাইল পিকে বঙ্গবন্ধুর ছবি, সঙ্গে লেখা ‘শোকাবহ আগস্ট, কাঁদো বাঙালি কাঁদো’…।

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়’ ঠাসা একটা প্রোফাইল। সেদিন জামাত শিবির মনে করে বিশ্বজিৎকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছিল রাজনসহ তার ছাত্রলীগ বন্ধুবান্ধবরা। তারপর কিরিচ দিয়ে রড দিয়ে চারদিক থেকে কোপানো হয়েছিল বিশ্বজিতের শরীরে…।

‘নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের’ চোখে-মুখে স্বপ্ন ছিল- কেউ নেতা হবে, ব্যবসায়ী হবে, বিসিএস দিয়ে সরকারী অফিসার হবে… দেশকে কত সার্ভিস দিবে।

স্বয়ং বিশ্বজিৎ বেঁচে থাকলে জাতির এই ২১ সূর্য সন্তানদের, নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের, জামাত-শিবিরের জম, চেতনার লড়াকু সৈনিকদের বাঁচাতে নিজেই আদালতে গিয়ে সাক্ষি দিতো- মাননীয় আদালত, আমরা কয়েক পুরুষ ধরে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক! প্রথম আলো আমার মা-মাসির ছবি ছেপে দিয়েছিল ৫ জুনের নির্বাচনের পর। কেউ ভোটকেন্দ্রে না গেলেও হিন্দুরা নৌকায় সিল মারতে কেন্দ্রে যাবেই- এমনটাই ছিল মতি ভাইয়ের কথা। তো, এসব ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগও ভাল করে জানে- এই ভোট তাদের বাপ-দাদার কেনা। কাজেই আমাকে চিনতে পারলে তারা তো ভোটব্যাংককে কোপাতে আসত না। তারা ভেবেছিল জামাত-বিএনপি লোক…।

তো এই হচ্ছে গল্প। বিশ্বজিৎকে ‘ভুল’ করে মারা হয়েছিল।