বিশ্বজুড়ে যারা জঙ্গিবাদের পথ বেছে নেয়, তাদের মধ্যে কোরানের এই অন্ধতাকে উগ্ররাজনীতির অস্ত্র হিসেবে নির্মমভাবে ব্যবহার করা হয়। মসজিদ, মাদ্রাসা, ওয়াজ মাহফিলের ক্ষমতাকান স্বঘে ঘুরে বেড়ানো আলেমরা, ধর্মান্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী সবাই কোরানের বিশেষ আয়াতগুলোকে নিজের সুবিধামত এমনভাবে তুলে ধরে যেন মানুষ ভয়, ঘৃণা, উগ্রতা, সন্দেহ, হত্যার পথে উদ্বুদ্ধ হয়।
এদের কথাবার্তা ধর্ম, মুমিন, মুসলিম-অমুসলিম বিভাজন, ‘জিহাদ’ সব কিছুতে সহিংসতার, বিভাজনের আগুন ছড়ায়।
মূলত, কোরানে সহনশীলতা, ন্যায়ের কথা থাকলেও, উগ্র ও কট্টর ইসলামী সমাজ সেইসব মানবিক বার্তা পাশ কাটিয়ে সহিংস আয়াত, উস্কানিমূলক গল্প, যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রতন্ত্রকেই মুমিনের ধর্ম বানিয়ে দেয়। সময়ের ভয়ে, পাঠ্যবই, মিডিয়া, ওয়াজে সবখানেই ধর্মীয় উস্কানির এই প্রচারণা বৈধতা পেয়ে গেছে।
অথচ, এইসব কোরান-কেন্দ্রিক জঙ্গিবাদের বিপরীতে আধুনিক মানবতা, মুক্তচিন্তা, বিজ্ঞান ও ইতিহাসের দুর্ভোগ বাড়ছে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়, রাষ্ট্র, আইন, প্রশাসন সবখানেই ধর্মান্ধ কোরান-বিচার এখন উগ্রতা, বর্বরতা, মানবিকতা বিরোধী পথে সমর্থন পাচ্ছে।
এখনই দরকার ধর্মীয় অন্ধতা, কোরানের উস্কানিমূলক বার্তা, জিহাদ-শাসন, যুদ্ধবাজ সমাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সামাজিক আলোচনার গড়ে ওঠা। ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ, উগ্রতা নয়, মানবিকতা, সহনশীলতাই হোক মানুষের অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তি।
 
				 
													 
							