রোহিঙ্গা ইস্যুতে মোদী সরকারের মায়ানমারের সাথে হাত মেলানোর নীতি খোদ ভারতেই বিপুল সমালোচিত হয়েছে- এ নিয়ে দেশের মধ্যে ও বাইরে বেশ চাপে আছে তারা। বিশেষ করে, প্রায় বিনাশর্তে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়া হাসিনা সরকারের সাথে এহেন বেইমানী ভাল চোখে দেখছে না ভারতীয়রা।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে ‘হাসিনার হত্যা প্রচেষ্টা’ নিয়ে সুবীর ভৌমিকের বেহুদা রিপোর্টটা এই চাপ সরানোর একটা প্রচেষ্টা হতে পারে। আইএসআই-আরসা-জঙ্গিবাদ ও হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা- এইটা মোটামুটি একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। সুবীর ভৌমিকের প্যাকেজ রিপোর্টটি বিনা চ্যালেঞ্জে পার পেয়ে গেলে ভারত ও বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে মায়ানমার রাষ্ট্র ও রাখাইনদের হাতে চলমান রোহিঙ্গা গণহত্যা বৈধতা পেয়ে যেতো, মোদী সরকারের পজিশনও জাস্টিফাই হতো। ব্যাপারটা এমন দাঁড়াতো যে মায়ানমারও তো সেই একই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধেই লড়ছে। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হচ্ছে- মায়ানমারের একটি অনলাইনে খবরটি প্রথম আমরা জানতে পারলাম। ৩৭ বছর সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সুবীর ভৌমিক এই খবরটা প্রকাশ করার আর কোনো জায়গা পেলেন না? ভারতীয় যেই টিভি চ্যানেলটি এই খবর দিয়েছে- তাদেরও আগে পরে গুজব প্রচারের কুখ্যাতি রয়েছে।
৭১ টিভিতে সুবীর ভৌমিকের কথা শুনছিলাম- এরকম আত্মম্ভরি শব্দচয়ন কোনোকালে কোনো সাংবাদিককে করতে শুনেছি বলে মনে পড়ে না। তিনি বললেন, বিডিনিউজ সহ যারা এর আগে তার সংবাদের অথেন্টিসিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে- তারা নাকি ‘বাপ বাপ’ বলে আবার তার খবর প্রকাশ করেছে। এই ‘বাপ বাপ’ বলে কথাটা তিনি কয়েকবার উচ্চারণ করলেন। কেন? খালি কলসি বলে?
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে- এই খবর ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা যে আছে- সেটা আমরা জানি। কিন্তু এরকম অহেতুক খবর ছড়ানোর চেষ্টা আসলেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেই উদ্দেশ্যের কিছু সাধারণ দিক বুঝতে চেয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশকে ভালো করে খতিয়ে দেখতে হবে যে এই খবর ছড়ানোর প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল? এই খবরের সরবরাহকারীরা কী শেখ হাসিনা বা বাংলাদেশকে ভিন্ন কোনো বার্তা দিতে চাইছে? বা থ্রেট?