আমি আজ হতাশ, খুব্ধ আর রাগান্বিত আমার শ্রদ্ধেয় মৃত দাদার উপর। কারণ, শুধু তার জন্য আজ আমাদের পরিবার এই দেশে এখনো বসবাস করছে। যুদ্ধের সময় একবার, আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দুই বার আমার দাদার বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ একটাই আমরা হিন্দু, সংখ্যালঘু, মালাউন আরও কতো কি? এমনিভাবে দুঃখ আর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নির্যাতিত সুমন নামের এক যুবক।
সুমনের মতো এরকম মনের মধ্যে রাগ আর ক্ষোভ নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকেই। তাদের বুক ফাটছে তবু মুখ ফোটছে না।
আমাদের সমাজে একটা রীতি প্রচলিত আছে, দুর্বলকে কখনো আঘাত করতে নেই। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে তার উলটো। যে দুর্বল তাকেই কেবল আঘাত করা যায়, সবলকে নয়। আবার প্রচলিত আছে, হিন্দু মানে আওয়ামী লীগ, হিন্দু মানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত। বাংলাদেশে এরকম একটা নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা আগে থেকেই মানুষের মধ্যে গলধঃকরণ করা হয়েছে। আর এর প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করতে হচ্ছে নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের। কিন্তু আমরা বাস্তবতার পেক্ষাপটে যদি বলি তাহলে বলব হিন্দু মানে শুধু আওয়ামী লীগ না হিন্দু মানে বিএনপিও আবার জাতীয় পার্টিও বটে। কিন্তু বাস্তবে কে শুনে ধর্মের কথা।
এর প্রকৃত উদাহরণ হাজারাইলের ঋষি পাড়ার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষেরা। যেখানে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কারণে স্বামী ও শ্বশুরকে বেধে রেখে চোখের সামনেই ধর্ষণ করেছে সদ্য বিবাহিত বউকে। শাশুড়ি ধর্মের বাপ ডেকেও বাচাতে পারে নাই ছেলের বউকে। ঠিক একই কায়দায় আরেক পরিবারের ছেলে ও বাবাকে বেধে রেখে ধর্ষণ করা হয় শাশুড়ি আর বউকে। এটা কি কোনো সভ্য সমাজের মানুষের পক্ষে সম্ভব? মনে হয় তারা আদিম যুগের মানুষ। যে যুগে মানুষ গুহায় থাকতো, কালচার বলে তাদের মধ্যে কিছু ছিল না। উলঙ্গভাবে জীবিকা নির্বাহ করতো। আর লিপ্ত থাকতো নানা বর্বরতামূলক কর্মকাণ্ডে। তাই বলছি, যারা স্বামী আর শ্বশুরের সামনে বউকে ধর্ষণ করে এবং তাকে নিয়ে রং তামাসায় মেতে উঠে তারা ছদ্মবেশী মানুষরুপী নরপিশাচ। ধিক এই মানুষগুলিকে !