নৌ পরিবহনের অতিরিক্ত সচিবের জন্য ফেরি আটকে রাখায় বাচ্চা একটা ছেলে মারা গেলো। সিলেটের ডিজির ঢাকা বাসায় তল্লাশী চালায়ে পাওয়া গেলো ঘুষের ৮০ লাখ টাকা।
ফেনির পুলিশ সুপার বদলি হয়ে যাওয়ার আগে নুসরাতের পক্ষে লেখা সকল সাংবাদিকের নামে মিথ্যা অভিযোগের চার্জশীট দিয়ে গেলো।
বরগুনার এসপি স্থানীয় এমপির যোগসাজশে একজন নিরাপরাধ মেয়েকে খুনের আসামী বানায়ে ছাড়লো।
ঢাকায় ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৩৫! বন্যায় মারা গেলো ১০৫! নারায়ণগঞ্জে মাদ্রাসার হুজুর তিন বছরে ধর্ষণ করছে ১১ টা বাচ্চা মেয়েকে।
কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ?
একটা দেশের সরকার ব্যবস্থা যখন অবৈধ হয় তখন তা টিকে থাকে তার অনুগত সকল সংস্থা বা বাহিনীর ঘাড়ে চড়ে। দুনিয়াটা চলে গিভ এন্ড টেক পদ্ধতিতে। তুমি অবৈধ সুবিধা নিবা, আর আমি আঙুল চুষবো? চল ভাগ করে খাই।
আর্মি, বিজিবি, পুলিশ, ছাত্র শিক্ষক জনতা, মাদ্রাসার মাওলানা, গরু ছাগল ভেড়া সবাই তখন ধান্দায় থাকে দেশটাকে ভাগ করে খাওয়ার, লুটেপুটে খাওয়ার। ফলে দেশের যে মেকানিজম তা কলাপস করে।
বিচারহীনতা প্রকট আকার ধারণ করে, শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পরে। ব্যবসা বানিজ্য তথা মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট উভয় চলে যায় চোরদের দখলে।
ধার্মিকরা অতিরিক্ত সুবিধা পায়। তারা ধীরে ধীরে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠে। তাদেরকে খুশি রাখতে সরকার একের পর এক প্রনোদনা ঘোষণা করে। এ সবই হচ্ছে এ দেশে। শুধু বাড়ছে না সাধারণ জনতার জীবনের মান।
আর্মিরা দিন দিন ব্যবসায়ী হয়ে উঠছেন। অবৈধ সুবিধে দেওয়া হজ্বের বহর যাচ্ছে সৌদি। ব্যবসা পাচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠী। ব্যাংক ফাঁকা হচ্ছে। লুট হচ্ছে শেয়ার মার্কেট।
আওয়ামীলীগের হাতে আপাতত জামায়াত টার্ম কার্ড নাই। এ দেশের মুসলমানদের ৯৯.৯৯% ধর্মভীরু ও সাম্প্রদায়িক। তারা চায় ধর্মের ভিত্তিতে দেশ। জামায়াতের ঘাড়ে যুদ্ধাপরাধের মতো বিষয় থাকায় তারা সে সুবিধা নিতে পারেনি।
সেক্ষেত্রে হেফাজত খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। আওয়ামীলীগ সেই সুযোগোটাই নেয়। যেহেতু হেফাজতের অতিত জামায়াতের মতো না, সুতারং তারা দ্রুত তাদের সাথে মিশে যায়।
বর্তমানে আওয়ামীলীগ দল হিসেবে হেফাজতের পারপস সার্ভ করতেছে। তারা যেভাবে চাচ্ছে, দেশ সেভাবে চলছে। ফলে তাদেরকে দিতে হচ্ছে নানা সুযোগ সুবিধা। অথচ আমরা জানি ফুলশয্যার রাত খুব বেশি দীর্ঘ হয় না।
এই যে আর্মি, পুলিশ প্রশাসন ও হেফাজতকে সন্তুষ্ট করে, জনগণকে হুমকি ধামকি দিয়ে আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনীতি, তা কতো দিনের জন্য স্থায়ী হবে? আদও কী তা এ জাতির জন্য সুফল বয়ে আনবে?
না, আমরা অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের দিকে আগাচ্ছি? বিচার বিশ্লেষণের ভার আপনাদের উপরে দিয়ে গেলাম।