আশির দশকে আমেরিকায় হটাৎ আইচআইভি আউটব্রেক হয়। হাতে গোনা কয়েকজন ডাক্তার এ নিয়ে কাজ শুরু করেন। রবার্ট জেমস ফ্রাসিনো তাদের মধ্যে একজন। তিনি খুব নামকরা ডাক্তার ছিলেন।
‘৯১ সাল। এইচআইভি পজিটিভ রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাতে নিডিল ঢুকে যায়। পেপ-কোর্স চালু করেও লাভ হয়নি। স্বাস্থ্য দ্রুত খারাপ হতে থাকলে ‘৯৬ সালে বাধ্য হয়ে জব ছেড়ে দেন। গড়ে তোলেন আমেরিকার সবচে বড় এইচআইভি চিকিৎসা কেন্দ্র জেমস ফাউন্ডেশন। ২০১১ তে সেস্পিক ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে মারা যান রবার্ট।
কোন একটা রোগ হটাৎ মহামারী আকারে দেখা দিলে ডাক্তাররা তার প্রথম শিকার হয়। হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন বা রবার্ট জেমস তাদেরই একজন।
জেমস ব্লগ লিখতেন। তার এক ব্লগে তিনি এক দম্পতি সম্পর্কে লিখছিলেন। মেয়েটি এইচআইভি পজিটিভ ৭ বছর ধরে। ছেলেটি নেগেটিভ। তাদের সম্পর্কের বয়স পাঁচ। সম্পর্কের শুরুতেই ছেলেটা জানতো মেয়েটা পজিটিভ। তবে তার ভাইরাল লোড নেগেটিভ। ভাইরাল লোড নেগেটিভ মানে এই নয় যে, সে কিউর। এর অর্থ ভাইরাস তার বডিতে আছে, কিন্তু মেসিনে ধরা পরছে না।
তারা আনপ্রোটেক্টেড সেক্স করতেন। এবং মিরাকলের মতো ছেলেটি ইনফেক্টেড হয়নি। গত পাঁচ বছর ধরে ইনফেক্টেড হয়নি। জেমস রবার্ট নিজেই ব্যাপারটা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন। তবে তিনি এ উপসংহারে পৌঁছান যে ছেলেটির ইমিউনিটি সিস্টেম এতো স্ট্রং যে, ইন্টারকোর্সের সময় মাইক্রোস্কোপিক কাটে যে পরিমাণ ভাইরাস গেলে ইনফেকশান হওয়ার কথা তা যাচ্ছে না এবং যতোটুকু যাচ্ছে তা ইন্সটান্ট কিল হয়ে যাচ্ছে।
ইমিউনিটি আমাদের ডিফেন্স সিস্টেম। তাকে শক্তিশালী করার জন্য বেশি করে ভিটামিন সি খান। প্রতি দিন একটা লেবু ক্যান্সারের ঝুকি ৫০% কমায় দিতে পারে। এমনকি আপনার ইমিউনিটি যদি স্ট্রং হয় এবং তা কম্প্রোমাইজ স্টেজে না থাকে তবে এডিস মশা কামড়ালে জ্বর নাও হতে পারে। আপনার ইমিউনিটি আপনার বন্ধু, শত্রু নয়। তাকে ভালোবাসুন।