ফেরি আটকে তিতাস খুনে নৌ-পরিবহণ উপসচিব জড়িত কিনা তা অনুসন্ধানে পৃথক তিনটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হইছে।
১) নড়াইল জেলা প্রশাসকের অধীনস্থ তদন্ত কমিটি,
২) বিআইডাব্লিউটিএ’র অধীনস্থ তদন্ত কমিটি এবং
৩) নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটি গুলার নাম দেখেই কাম হয়ে গেল আমার। কারণটা বুঝতেই পারছেন কেন?
সব সম্ভবের এ দেশে বাপকে কোনদিন ছেলের অপরাধ স্বীকার করতে দেখছেন?
সাঁওতালদের বাড়িতে পুলিশ নিজে আগুন দিচ্ছে, এ রকম একটা ভিডিও থাকার পরেও চার্জশীটে জড়িত পুলিশ সদস্যদের নামগন্ধ নাই। ঘটনার মূল হোতা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকে পর্যন্ত সে চার্জশীট থেকে বাদ দেওয়া হইছে।
চট্টগ্রামে এসপি বাবুল আকতার স্ত্রী মিতুকে নিজস্ব সোর্স দিয়ে খুন করায়। জঙ্গি হামলা বলে তা চালায় দিতে চাইছিল। পরে কেঁচো খুঁড়তে এনাকোন্ডা বেরিয়ে যায়। ফলে বাবুলকে বাঁচাতে মূল খুনিকে ক্রস দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত বাবুলের কোন নুমাটা ছেঁড়া হইছে শুনি?
মূল আসামী নয়ন বন্ডকে ক্রস দিয়ে, ভুয়া সেক্স ভিডিও ছড়িয়ে মিন্নিকে ফাঁসিয়ে দেওয়া তো পুরাতন কিছু নয়। চোখের সামনে ঘটলো এ সব। তিতাসের পরিবার তাই বিচার যে পাবে না, তা আন্ধা হাফেজী হুজুরও বেঁচে থাকলে চোখ বন্ধ করে বলে দিতো।
বর্তমানে বাংলাদেশে লর্ড সাহেবদের শাসন চলতেছে। মদিনা সনদের শাসন চলতেছে। এর শেষ পরিণতি যে কী তা আজকে চর্ম-নাই হুজুরের বক্তব্য থেকে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার জলের মতো পরিষ্কার। ফেরি আটকে তিতাসকে হত্যায় তিনি একটা ভিডিও ছেড়েছেন ইতিমধ্যে।
বাংলাদেশে অদূর ভবিষ্যতে যদি জঙ্গী মৌলবাদীরা ক্ষমতায় চলে আসে তবে তার জন্য দায়ী থাকবে আওয়ামীলীগের চরম স্বেচ্ছাচারিতা মনোভাব, প্রশাসনের লাগামহীন দূর্নীতি এবং জনগণকে জনগণ না মনে করার প্রবণতা। এ থেকে আদৌ মুক্তি মিলবে কী?