আমি পড়তে ভালোবাসি,এবং আমার আগ্রহ থাকে সিরিয়াস ধরনের লেখায়। তবে হ্যাঁ ধর্মান্ধতা,রাজনীতি,নারীর অধিকার,ধর্ষন,ক্রিকেট ইত্যাদি নিয়ে প্রতিদিন লিখতে ইচ্ছে করে।কিন্তু এলেবেলে আগডুম বাগডুম লেখা লিখতে চাইনা বলে,এবং চোখকান খোলা রেখে সিরিয়াসলি লিখতে গেলে দৈনন্দিন কাজে মানসিক চাপ পড়ে বলে লেখায় আমি নিয়মিত হতে পারিনা। তাছাড়া লেখালেখিতে সবসময় ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় বলেও আমি মনে করিনা। সত্যি বলতে কি আমার আগের অনেক স্ট্যাটাস ও কমেন্টকে আমার নিজের কাছেই এক ধরনের ছেলেমানুষি বলে মনে হয়।
অনেকে মনে করেন ধর্ম নিয়ে,বিশেষ করে ইসলামকে নিয়ে একঘেয়েমী লেখায় আমি মেতে থাকি,হিন্দু ধর্মের কুখ্যাত জাতপাত আর নারীকে অধিক হেয় করা ভেজাল আমার চোখে পড়েনা,হিন্দু মৌলবাদীদের নিয়ে আমি ভাবিনা।এসব যে জানিনা বুঝিনা তা নয়,কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে লেখাই আমি যুক্তিসঙ্গত মনে করি। তাইবলে ভারত বা বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশে হিন্দু বা অন্য ধর্মের মৌলবাদীদের হীন কর্মকে আড়াল করার পক্ষেও আমি নই। আমি নিঃসঙ্গ মানুষ,সময় কাটানো ছাড়া ফেসবুকে আমার একমাত্র স্বার্থ মানুষের বিকাশ।
কেউ কেউ মনে করেন আমি রাজনীতি নিয়েও তেমন কিছু বলিনা। আমি এখানে পরিষ্কারভাবে বলছি রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে আমি মোটেও পজিটিভ ধারনা পোষন করিনা,নেতারা নিজেরা কোনো না কোনো বিশেষ বিশ্বাসের কাছে বাঁধা,ধর্মে তারা যতটা বিশ্বাস করেন,তারচেয়ে তারা অনেক বেশি জনসাধারনের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করেন। ধর্ম দিয়ে যেহেতু প্রতারনা করা যায়,তাই জনগনের সাথে প্রতারনা করতে তারা ধর্মকেই বিশেষভাবে বেছে নেন। আর ইসলাম এমন একটি ধর্ম,যে নিজেই তার জন্যে একটি রাষ্ট্র গঠনের কথা বলে,এবং কিভাবে অমুসলিমদের সে দেশ থেকে হটিয়ে দিতে হবে অথবা তাদের কাছ থেকে কিভাবে জিজিয়া কর আদায় করতে হবে,সেটি পরিষ্কার লেখা আছে মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থে।
প্রত্যেক মুসলমান বিশ্বাস করে কোনো একদিন সারা বিশ্ব ইসলামের ছায়াতলে আসবে,আর সেই বিশ্বাসকে বাস্তবে রুপ দিতে ইসলামী খিলাফত আন্দোলন আবশ্যক। ইসলামী রাজনীতিতে খিলাফত আন্দোলন কি জিনিস,সেটা জানতে হ’লে আপনাকে সীরাত থেকেই শুরু করতে হবে…।