জাস্টিফাই লীগ আজকে কি মুখে ** ঢুকিয়ে কি বসে আছে?

বর্তমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কতোটা প্রকট তা হাসপাতালে না গেলে কেউ বুঝতে পারবে না। ডাক্তাররা একা, “ওয়ান ম্যান আর্মি”, এর বিরুদ্ধে ফাইট দিয়ে যাচ্ছে। যাদের পাশে কেউ নাই।

সরকার তাদের পাশে নাই। টেস্টের জন্য কীট নাই। প্রশাসনের সহযোগিতা নাই। জনগণের অনুপ্রেরণা নাই। ডাক্তাররা এতিম, উল্টা বেহুদা সাংবাদিকদের ব্লেম গেম সহ্য করতে হচ্ছে। যারা কিনা ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে শুরুতে নিউজই করতে চায়নি।

অন্যদিকে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা চেপে যেতে চেয়েছিল। জনগণের ভাষায় গজবকে গুজব বলে প্রচারে সচেষ্ট ছিল। যারা এখন এডিস মশা নিধনে সরকারের ব্যর্থতাকে ঢাকতে সকল দায় ডাক্তারদের ঘাড়ে চাপাতে চায়।

দেশের ভাবমূর্তি বিষয়ক লাইভ ব্যারিস্টার জাতির ভয়াবহ দুর্দিনে মুখে ঢেরস পুরে বসে আছে। এখন পর্যন্ত তাকে দেখলাম না কোন হাসপাতালের বারান্দায় খাড়ায়ে লাইভ করতে। উল্টা একবাল ছেঁড়া গায়ক গোটা ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে মুড়িয়ে দিল।

নো-বাল নামের সেই গায়ক যা চেয়েছিল, তাই হইছে। আওয়ামীলীগের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদকের ছেলে তো আওয়ামীলীগেরই পারপস সার্ভ করবে, নাকি? তাই হইছে! গোটা জাতিকে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে রবীন্দ্রনাথে ঘুরিয়ে দেওয়া গেছে।

একটু খেয়াল করলে দেখবেন, যে সকল জাস্টিফাই লীগার গত কয়েক দিন, “ফুল ফল লতা পাতা, তুমি কইছো মনের কথা”, নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তারাও আজ গলা ফাটায়ে ফেলতেছে নো-বাল ইস্যুতে। অথচ তাদের মুখের ভাষা মানবতার পক্ষে হওয়ার কথা ছিল।

সব কিছু মিলিয়ে এই সিদ্ধান্তে আসা যায়, দেশের মানুষ ভালো নাই। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত লন্ডন যাওয়া উচিৎ।

অফটপিকঃ

কসাই খ্যাত এই ডাক্তাররা না থাকলে দেশে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়ায় যেতো। সবার তো আর লন্ডনে চিকিৎসা নেওয়া ক্ষেমতা নাই। বা ক্ষেমতা নাই মালয়েশিয়া বউ বাচ্চা নিয়ে পালায় যেতে।