ইসলাম ও নির্যাতন

ইসলাম একটা শিশুনির্যাতনকারী ধর্ম। এখানে সাত বছরের বাচ্চা ছেলেমেয়েদের জন্য নামাজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরপর যদি তারা নামাজ না পড়ে, তাহলে প্রহার করা বাবা-মা’র জন্য বাধ্যতামূলক। এতেও কাজ না হলে বাচ্চাদের খাবার বন্ধ করে দিতে হবে। আর একটু বড় হবার পরেও যদি নামাজ না পড়ে, তাহলে বাড়ি থেকে বের করে দিতে হবে। মোহাম্মদের নিজের ছেলেমেয়ে থাকলে এমন কঠিন নিয়ম করতে পারতো কি না, সন্দেহ হয়।

ইসলাম ত্যাগ করার পুরস্কার কী? আমি কোনো টাকাপয়সা পাইনি। যেটা পেয়েছি, তার মুল্য অর্থের চাইতে অনেক বেশি। মনের ওপর থেকে মস্ত এক বোঝা নেমে যাবার স্বাদ পেয়েছি। মুক্তির অনাবিল আনন্দ পেয়েছি। বর্বরতাকে ঝেড়ে ফেলে আমি গর্বিত হয়েছি। কিন্তু ইসলামের কাছে আমি ভয়ানক অপরাধী। আমার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

মানুষের তৈরি আইনগুলো দেখুন, এখানে যে কোনো অপরাধী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পায়। ইসলাম কি আমার কাছে জানতে চায়, কেন আমি ইসলাম ত্যাগ করলাম? আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিলো। সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টি করেও মানুষের সমান মানবতা দেখাতে পারে না।

ইসলাম বলে এতিমদের প্রতি সদয় হতে। একটু খোঁজ নিয়ে দেখলেই জানতে পারবেন, শুধুমাত্র মুসলমান এতিমদের প্রতি সদয় হতে বলা হয়েছে।

চল্লিশ ঘর প্রতিবেশীর কাউকে অভুক্ত রেখে পেটপুরে খেয়ে ঘুমাতে যেতে পারবে না মুমিন, কিন্তু চল্লিশ ঘরের মধ্যে যদি কোনো বিধর্মীর ঘর থাকে, তবে ভিন্ন কথা।

আল্লাহর সব রহমত কেবল মোহাম্মদের কথা যারা মেনে নিয়েছে তাদের ওপর। মোহাম্মদের কথা বিশ্বাস করলো না বলেই বিধর্মীদের প্রতি আল্লাহর অ্যাত্তোগুলা রাগ হয়ে গেলো।

ইসলামকে যতই জানার চেষ্টা করি, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেড়িয়ে পড়ে। মেরাজের কথা জানতে গেলে উম্মে হানি বের হয়, মহতী আয়েশার জীবন জানতে গেলে সাফওয়ান বের হয়, ওহী নাযিলের কথা জানতে গেলে ওয়ারাকা বিন নওফেল সহ আরো খ্রিষ্টান পাদ্রী বের হয়, মদিনার ইসলামীকরণ জানতে গেলে বনু কুরাইজা বের হয়… আরো কত কী যে বের হয়!

শুরু করেছিলাম ইসলামের শিশুনির্যাতন নিয়ে, তারপর কোথায় কোথায় চলে গেলাম! ইসলাম ব্যাপারটাই এমন – পুরাই অস্থির। হয় আপনি অস্থির জঙ্গি হবেন, নয়তো অস্থির নাস্তিক হবেন।