কিরিন কথন

লিখেছেন কৃশানু কিরিন

১.
এক দোস্ত জ্ঞানী-জ্ঞানী ভাব নিয়া কইলো:
– হত্যা আমি কখনোই সমর্থন করি না, কিন্তু ধর্মকে অবমাননা করা কি ঠিক? কারুর বিশ্বাসকে আঘাত করা উচিত না, প্রত্যেকের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
আমি কইলাম:
– সহমত। সবার বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করা উচিত। আমার বিশ্বাস, তুই একটা জারজ। তুই নিশ্চয় আমার এই বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
২.
মুরুব্বি কইলো:
– আয় নামাজে যাই।
– নামাজ পড়ি না।
– ক্যা?
প্রশ্নের ধরন শুইনা বুঝা যাইতাছে, বিশাল লেকচার দেওয়ার জন্য সে প্রস্তুত। তখন আমি কইলাম:
– বাল ফালানোর টাইম পাই না। তাই নামাজ হয় না।
৩.
– পৃথিবীর প্রায় সবাই আস্তিক। তোরা হাতে-গোনা কয়েকজন নাস্তিক। তোরা বলতে চাস, তোরা এই হাতে-গোনা অল্প কয়েকজনই সঠিক, বাকি সব বোকাচোদা? হাউ সিলি!
– পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় সাতশ কোটি। মুসলমান মাত্র ১৬০ কোটির মতো। তুই বলতে চাস তোরা এই হাতে-গোনা মাত্র ১৬০ কোটি জনই সঠিক, বাকি সাড়ে চারশ কোটি সব বোকাচোদা? হাউ সিলি!
পোলাডা ফিউজ হইয়া গেলো। মায়া হইলো, বেচারা এতো উৎসাহে একটা লজিক দিলো, সেইটারও ঠ্যাং ভাইঙ্গা দিলাম। তখন কইলাম:
– দেখ, দোস্ত, সংখ্যাধিক্যের বিচারে সত্য নিরূপণ করা যায় না। ব্রুনোর যুগে সবাই বিশ্বাস করতো – পৃথিবী স্থির। তাই বলে কিন্তু পৃথিবী স্থির ছিলো না। ব্রুনোরে পুড়াইয়া মাইরাও পৃথিবীর ঘূর্ণন থামানো যায় নাই। হাজার হাজার অভিজিৎরে কোপাইয়া মারলেও কোনো ঈশ্বর জন্ম নিবে না।