রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ যদি রুদ্র মুহম্মদ (সঃ) শহীদুল্লাহ হতেন, তাহলে তাঁর লেখা বিখ্যাত ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ কবিতাটি কেমন হতে পারতো, কল্পনা করেছেন নাস্তিকথন
আজো আমি বাতাসে হুরের গন্ধ পাই
আজো আমি বিধর্মী দাসীর নগ্ননৃত্য দেখি,
কাফির জেনানা ধর্ষণের আহ্বান শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…
মমিন কি ভুলে গেছে সেই আদর্শ, সেই নবীর সুন্নাহ?
বাতাসে হুরের গন্ধ ভাসে
জোব্বায় লেগে আছে (বিধর্মীর) রক্তের দাগ।
এই রক্তমাখা জোব্বার গা ছুঁয়ে একদিন যারা পাগড়ি বেঁধেছিলো।
জেহাদি জীবন ছেড়ে তারা খুঁজে নেয় বিজ্ঞানের আঁধার,
আজ তারা নূরহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে আলোর গুহায়।
এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আড়ষ্ট কুমারী মরিয়ম,
খিলাফত– এ কি হবে নষ্ট জন্ম?
এ কি তবে হিজাবহীনা কুমারীর লজ্জার ফসল?
ইসলামের পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো মালাউন।
বাতাশে হুরের গন্ধ
চাঁদের আলোয় যৌনদাসীর দেহে দুলবে মাংসের তুফান।
জোব্বায় বীর্যের দাগ –
আমলনামায় শুধু জমা হয় জিহাদভীতু মডারেটের ভণ্ডামি
এ চোখে ঘুম আসে না। সারারাত আমার ঘুম আসে না –
তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি হুরদের মধুর চিৎকার,
নরকের গরম তেলে ভাজা মডারেট জিহাদবিমুখ দেহ
হিজাবহীনা বালিকার ফেরেশতায় খাওয়া বীভৎস শরীর
ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি
ঘুমুতে পারিনা…
পাপের কাফনে মোড়া – মুনকার খেয়েছে যারে, নাকীর খেয়েছে যারে
সে মুরতাদ, সে কাফির, সে যুক্তিবাদী নাস্তিক,
খিলাফত সে আমার – হায়াত হারিয়ে পাওয়া একমাত্র হায়াত –
খিলাফত – আমার জিহাদি ভায়ের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।
ধর্ষিতা দাসীর শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত ইসলামের পতাকা।