ক্যান্টিনে ৭০ হাজার টাকা বাকী পড়েছে ছাত্রলীগ নেতার- ওই টাকা মেরে দেয়ার ফন্দিতেই সম্ভবত কুটচালটি চেলেছে সে। হতে পারে, এর পেছনে অন্য নিগূঢ় কোনো মোটিভ আছে। তেহারীর প্যাকেট নিয়ে হিন্দু ছেলেদের খাইয়ে দিলো। তার বক্তব্য- ওতে গরুর মাংস আছে জানা ছিলো না তার। অথচ কে না জানে, তেহারী গরুর মাংস দিয়েই হয়।
সাম্প্রদায়িক ইতর প্রাণীগুলো এখন জলঘোলা করছে ভিন্ন ইস্যুতে। চারুকলায় গরুর মাংস নিষিদ্ধ কেন-এ নিয়ে আরএসএস, শিবসেনা খুঁজে বেড়াচ্ছে তারা। এই ইস্যুতে হিন্দুদের উপর হামলে পড়ার চান্স খুঁজছে তারা। এর মধ্য দিয়ে তারা মূলত বাংলা নববর্ষ যে অনৈসলামিক সেটা প্রমাণে ঝাঁপিয়ে পড়েছে । চারুকলার ক্যান্টিনে গরু বা শুকর কোনোটিই নিষিদ্ধ নয়, এ নিয়ে কোনো ফরমান কখনো জারি হয়নি। বাংলাদেশের অনেক রেস্টুরেন্টে গরুর মাংস রান্না হয় না। ঢাকা শহরে কাবাবের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড স্টার কাবাবে গরুর মাংসের কোনো আইটেম হয় না।
ব্যবসায়িক জায়গা থেকেই তারা সেটি করে-যেন সকল ধর্মের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে স্বস্তিতে খেতে পারে। তার মানে এই নয় যে স্টার কাবাবে গরুর মাংস নিষিদ্ধ। বৈশাখের বিশেষ উপলক্ষে চারুকলার ক্যান্টিনে তেহারী রান্না হলে সেটা মোটেও অন্যায় নয়, অন্যায় করেছে তারা যারা নিজেদের হীন স্বার্থে তেহারী হিন্দু কাউকে খাইয়েছে। আবার সারা বছর চারুকলার ক্যান্টিনে গরুর মাংস রান্না না হওয়াও মোটেও অন্যায় কিছু না। সাধারণত এগুলো পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ীই করা হয়। কিন্তু সাম্প্রদায়িক কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত প্রাণীগুলোকে আপনি এর কোনোটিই বোঝাতে পারবেন না। ওরা শুধু চান্স খুঁজবে। কোনো একটা ছুতো পেলেই ওরা তাদের পচা গলা শরীর মন উগরে দেবে।