কাশেম বিন আবু বাকার

মাত্র এক বছর আগেও কেউ চিনতো না তাকে। পিনাকীই তাকে ফেবু তে পরিচয় করিয়ে দেন। এরই মধ্যে কাশেম বিন আবুবাকার বাংলা উপন্যাসের মহারাজা’র আসন দখল করেছেন। পিনাকীদের প্রপাগান্ডার ফলে তার এই উত্থান। পিনাকী গং তো তাতে বগল বাজাতেই পারে। এতে অবশ্য আমার কোন অসুবিধা বা আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু আপত্তি তাদের দাম্ভিকতা দেখে। লেখা-লেখি করে বা দু’একটি গান গেয়ে বা কবিতা লিখে কেউ মাত করতেই পারেন তাতে অসুবিধা কি? তবে পিনাকি গং এমনভাবে বিষয়টিকে দেখছে, যেন কাশেম সাহেবের এমন কীর্তিতে সুনামগঞ্জের হাওরের পানি সরে গেছে, দেশে কারো কোন দু:খ- কষ্ট আর থাকবে না। মালিকরা শ্রমিকদের ন্যায্য মুজুরী দিয়ে দেবে, দেশ থেকে আর কোন টাকা বিদেশে পাচার হবে না। সাম্রাজ্যবাদ লেজ গুটিয়ে পালাবে। আর শুকনো বামগুলো কাজ না পায়ে পি আর এল- এ চলে যাবে।

সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার আর জনগনের সমস্যা-সংকট নিয়ে যাদের বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই, যারা ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানে না। বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যাদের কোন পড়াশুনা আছে বলে মনে হয় না। তাদের পক্ষেই সম্ভব এই ইতরামী।

কাশেম বিন আবু বাকারের কোন লেখা আগে কোনদিন আমি পড়িনি। সম্প্রতি তাকে নিয়ে পিনাকীদের মহাউল্লাসের পর অনেক খোজাখুজির পর একটি বই খুজে পেলাম। বইটির নাম ‘ রাগ অনুরাগ’। মূলত মুসলিম ধর্মভীরু দু’টি পরিবারের দু’ জনের প্রেম-প্রনয় আর হালকা erotic কিছু কথা-বার্তাই যার সার। এ ধরনের হালকা চটুল বই পথে ঘাটে অনেক পাওয়া যায়। কিন্তু পিনাকিরা কেন কাশেম কে নিয়ে এত উৎসাহ পেল? কি তাদের উদ্দেশ্য? আমাদের সংস্কৃতিকে নতুন ভাবে সাজাতে চান? ধর্মীয় লেবাস দিয়ে? পারবেন না পিনাকি, পারবেন না। কিছু মানুষকে কিছু দিনের জন্য বোকা বানাতে পারবেন কিন্তু বহুদিনের জন্য নয়। মুসলমানদের জন্য আপনার এই মায়া কান্না, ইতরামি ছাড়া কিছু নয় সেটা আমরা বুঝি। সারা দুনিয়াতে এখন ধর্মীয় উন্মাদনা চলছে। কে কত বেশি মুসলমান, হিন্দু,খৃষ্টান বৌদ্ধ হবে তার প্রতিযোগিতা চলছে। এতে পৃথিবীতে শান্তি আসছে না। সহিংসতা আরো বাড়ছে। আর ঝোপ বুঝে কোপ মারার ধান্দায় যারা আছেন, সেই পিনাকী গং যেনে রাখুন– কোন ছল-চাতুরীই আর মানুষের কাছে অবোধ্য থাকবে না। অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল শক্তি জনগনকে সাথে নিয়ে আপনাদেরকে রুখে দেবে। প্রস্তুত থাকুন মহাশয় পিনাকী।