ফাতেমা দেবীর ফতোয়া – ২৫

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সঃ)

১২১.
– ‘হলুদ জব্দ শীলে, আর বৌ জব্দ কিলে’ – এর ইছলামি ভার্শন কী?
– ‘স্ত্রীগণে অবাধ্যতার সংশয় হলে তাদিগে উপদেশ দাও, শয্যা ত্যাগ করো ও প্রহার করো।’ (সুরা ৪:৩৪)

১২২.
সিজিওফ্রেনিয়ার রোগীরা নাকি পশুপাখিদের কথাবার্তা বুঝতে পারে বলে দাবি করে থাকে। অনেক পয়গম্বর অবতাররা দাবি করেছিল, তারা পশুপাখিদের কথাবার্তা বুঝতে পারে এবং তাদের সাথে কথোপকথনও চালিয়ে থাকে। তারা কি এই রোগে আক্রান্ত ছিল? আমার মনে হয়, তারা কেউ সিজিওফ্রেনিয়ার রোগী ছিল না। ছিল প্রচণ্ড রকমের মিথ্যুক ভণ্ড প্রতারক। নিজেদেরকে প্রেরিত পুরুষ প্রমাণিত করার জন্য তারা মানুষকে ওসব রূপকথার গল্প শোনাত। তাদেরকে পশুপাখিদের সাথে কথোপকথনরত অবস্থায় কোনো মানুষ কিন্তু দেখেনি কোনোদিন।

১২৩.
লৌকিক জীবনে অলৌকিকতা নামের মিথ্যা অপরিহার্যভাবে পরিহার্য।

১২৪.
অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এগুলি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। অথচ মমিনরা আল্যার জন্য শুধু বাসস্থান বানিয়ে দিয়ে দায়িত্ব পালন শেষ করেছে মনে করে। এই তো গেল কেবল মৌলিক অধিকারের একটি। বাকি চারটি কোথায় যাবে? তার জন্য অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে না? বিলাসদ্রব্য দূরে থাক, আল্যার মৌলিক চাহিদাগুলি তো অন্তত পূরণ করা উচিত মমিনদের।আল্যা বলে কি তার কোনো মানবাধিকার বা মৌলিকাধিকারের অধিকার নাই? কী বলেন আপনারা?

১২৫.
হুরীর পাল আর লালপানি হাতছানি দিয়ে ডাকছে মমিন্দের, আয় মমিন আয়।