” আমরা কি রূপে প্রকৃতির বিরুদ্ধে আছি ব্যাখ্যা দেবেন প্লিজ?”

সৃষ্টির শুরু থেকে সমকামীরা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। বিষমকামী মানুষ দ্বারা সন্তান উৎপাদন সম্ভব কথা সত্যি, তাই বলে সন্তান উৎপাদন ই যে যৌন মিলন এর একমাত্র কারণ এ কথা কে বলেছে? উষ্ণতা থেকে ও হয় যৌন মিলন। ভালোবাসা প্রকাশের একমাত্র উপায় কি শুধু যৌনতা? কখনোই না। তাছাড়া ব্যক্তি বিশেষে যৌন মিলন এর আচরণ, রুচি এবং কে কিভাবে সন্তুষ্টি লাভ করেন তাতেও অনেক পার্থক্য রয়েছে, এর কারণ, মানুষ মাত্রই বিচিত্র প্রাণী । আপনি, আপনার আসে পাশে, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের হার দেখে তা আরো স্পষ্ট বুঝে নিতে পারেন। আমি নিশ্চিত, বিষমকামী দের বেলায় এই সত্য মেনে নিতে আপনার কোনো দ্বিধা নেই, তবে সমপ্রেমী দের বেলায় কেন না?

আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন ‘আপনারা কেন সমকামী?’

পুরুষ fetuses তাদের Y chromosome এ নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন বহন করে, তাকে H-Y antigen বলা হয়। কিছু antigen পুরুষের বিষমকামী অভিযোজনের বিকাশকে উৎসাহিত করে, কারণ H-Y antigen মায়ের দেহে উপস্থিত থাকে না এবং তারা মাতৃভিত্তিক antibody উৎপাদনে ট্রিগার করে। এই অ্যান্টিবডি H-Y antigen এর সাথে যুক্ত হয়ে antibody ‘র স্বাভাবিক ক্রিয়া তে বাধা সৃষ্টি করে।

যদি H-Y antigen কার্যকর না হয়, তাহলে ভ্রূণের মস্তিষ্কের “বিষমকামী” সংকেত কখনও ফুটে উঠবে না।

”Male fetuses carry male-specific proteins on their Y chromosome, called H-Y antigens. Some of these antigens promote the development of heterosexual orientation in males … Because these H-Y antigens are not present in the mother’s body, they trigger the production of maternal antibodies. These antibodies bind to the H-Y antigens and prevent them from functioning.

With the H-Y antigens not functioning, it could be that the “be straight” signal in the fetus’s brain never flicks on”

Source

এমন আরো বৈজ্ঞানিক বেখ্যা রয়েছে। ঠিক যেভাবে আমাকে প্রশ্ন করেছেন, simply google search করে homosexuality বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।

” আচ্ছা একজোড়া সমকামী কি কখনো একটা বাচ্ছা উৎপাদন করতে পারবে? ”

যে সন্তান আজকে জম্ন নিয়েছে, সে ই তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আমি এমন বহু বিষমকামী দম্পতি দেখেছি যারা সন্তান জন্মদানে সম্পর্ণরূপে সক্ষম , কিন্তু তারা নতুন একটি জীবন পৃথিবীতে আনার চেয়ে যে সন্তানেরা ইতিমধ্যে জন্ম নিয়েছে এবং দুর্ভাগ্যের শিকার তাদের দত্তক নিচ্ছেন, তাদের কে পৃথিবীতে চলার মতো যোগ্য করে তুলতে সাহায্য করছেন। তারা এই কাজটা কেন করছেন বলে আপনার মনে হয়? খুব সহজ ভাবে কারুনগুলো খুজুন, কি কি হতে পারে সেসব কারণ – একটি জীবন সুন্দর ভাবে যাপন হোক তা নিশ্চিত করা? নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী সেই সন্তানের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা? সমাজে ভারসম্য আনা? জনসংখ্যায় ভারসম্য আনা? এতে করে আসলে লাভ কার হচ্ছে? কারো কি ক্ষতি হচ্ছে? আপনার ঊত্তর হবে – না, কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, বরং এটি উদারতা। এই উদারতা সমপ্রেমীদের বেলায় মেনে নিতে আপনাদের আপত্তি কোথায়?

” যদি না পারে তো ভবিষ্যত প্রজন্মে আপনাদের অনুসারীরা লেসবিয়ান, হে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার হলে সঙ্গী কোথায় পাবেন। সেক্সডল ব্যাবহার করবেন? ”

lesbean , gay এবং bisexual দের সঙ্গীর অভাব না কোনোদিন আগে ছিল, আছে, না ভবিষ্যতে কোনোদিন থাকবে। যতদিন মানবকুল এর অস্তিত্ত্ব রয়েছে ততদিন তাদের সঙ্গীর অভাব হবে না।

১৯০৮ সালের ও আগে ডাচ নাবিকেরা সেক্স ডল আবিষ্কার করেছিলেন তাদের সামুদ্রিক জীবনের একাকিত্ব এবং জৈবিক প্রয়োজন পূরণ করবার জন্যে, তারা কি বিষমকামী ছিলেন না সমকামী? আপনাদের কেন ধারণা যে সমপ্রেমীরা ই একাকিত্বে ভুগবে বিষমকামী রা না?

বিষমকামী হয়েও কি খুব সহজে জীবনসঙ্গী পেতে সক্ষম আপনারা? হা সঙ্গী পাওয়া আপনার জন্য কিছুটা সহজ যেহেতু এই যৌনতা বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত। সমপ্রেমীরা স্বীকৃতি পেলে তারা খুব সহজেই বিয়ের সঙ্গী পাবেন, আর মন মতো যারা পাবে না তাদের কেউ কেউ একাকিত্বের কিছু মুহূর্ত না হয় কাটাবেন। ঠিক যেমন টা কিছু বিষমকামীরা কাটান!

ধর্মীয় ব্যাখ্যা অনুযায়ী যদি আপনার মতের অমিল থাকে, ১৫০০ বছর আগের এমন অনেক কিছুই আছে যা আজকে দিনে বাস্তবায়ন সম্ভন না, যেমন ৬ বছরের শিশু কে বিয়ে করে ৯ বছরে তার সঙ্গে যৌন মিলন করা। কারণ plain and simple , it is a crime TODAY . চাইলে আরো অনেক কিছু বলা যেতে পারে যা আমি এই মুহূর্তে নাই বললাম, ঠিক তেমনি আজকের বৈজ্ঞানিক অবদান এবং প্রসারতার ফলে যে জিনিসগুলো সামনে চলে এসেছে তা যতই আপনারা মোমিন হন , যতই বলেন ইসলাম বৈজ্ঞানিক ধর্ম , কৈ এই scientific exlanation গুলো তো ইসলাম এ নাই। বাল্যবিবাহ আইন করার অর্থ যেহেতু আপনারা ইসলাম এর সংস্কার হিসেবে দেখছেন না, সমকামীদের সমঅধিকার আইন প্রতিষ্ঠায় আপনাদের আপত্তি কেন?

সব শেষ প্রশ্ন
আমরা কি রূপে প্রকৃতির বিরুদ্ধে আছি ব্যাখ্যা দেবেন প্লিজ।

উত্তর
আপনারা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট মানুষ কে তার প্রাকৃতিক অনুভূতি, আর ভালোবাসার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে প্রকৃতির বিরুদ্ধে যাচ্ছেন। আশা করি উপরের আলোচনায় আপনি ব্যাখ্যা পেয়েছেন।

তাসনুভা ফেরদৌসী