ইসলামের হিংস্রতা বনাম সমকামীদের মানবাধীকার – দ্বিতীয় খন্ড

শুধু মাত্র ভিন্ন মতের কারণে যে কুরাআন অমুসলিমদের ব্যাপারে এরকম বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয় সেই কোরআন হাদিসে সমকামীদের ব্যপারে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য অসমীচীন নয়। কিন্তু সমকামীদের নিয়ে ইসলাম ধর্ম সমালোচনার নৈতিক অধিকার রাখে না। কারণ ইসলাম ধর্মের নবী মোহাম্মদ নানা অনৈতিক ও মানবতাবিরোধী কাজের সাথে জড়িত ছিল। হাদিস থেকে কিছু নমুনা তুলে ধরা হলঃ

গণহত্যাঃ

ইবনু ‘আউন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাফি‘ (রহ.)-কে পত্র লিখলাম, তিনি জওয়াবে আমাকে লিখেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানী মুস্তালিক গোত্রের উপর অতর্কিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের গবাদি পশুকে তখন পানি পান করানো হচ্ছিল। তিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা এবং নাবালকদের বন্দী করেন এবং সেদিনই তিনি জুওয়ায়রিয়া (উম্মুল মু’মিনীন)-কে লাভ করেন। [নাফি‘ (রহ.) বলেন] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) আমাকে এ সম্পর্কিত হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি নিজেও সে সেনাদলে ছিলেন। (বোখারী, আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৭৩)
এ রকম আরো অনেক হাদিস ও কুরআনের আয়াত আছে।

শিশুকামীতাঃ

১. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেন, দু’বার তোমাকে আমায় স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আমি দেখলাম, তুমি একটি রেশমী কাপড়ে আবৃতা এবং আমাকে বলছে ইনি আপনার স্ত্রী, আমি তার ঘোমটা সরিয়ে দেখলাম, সে মহিলা তুমিই। তখন আমি ভাবছিলাম, যদি তা আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে, তবে তিনি তা বাস্তবায়িত করবেন। (মুসলিম ৪৪/১৩, হাঃ নং ২৪৩৮, আহমাদ ২৪১৯৭)(বোখারী,আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬১৩)

২. হিশাম এর পিতা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদিনার দিকে বের হওয়ার তিন বছর আগে খাদীজাহ (রাঃ)-এর মৃত্যু হয়। তারপর দু’বছর অথবা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করে তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বিবাহ করেন। যখন তিনি ছিলেন ছয় বছরের বালিকা। তারপর নয় বছর বয়সে বাসর উৎযাপন করেন। (বোখারী,আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬১৪)

৩. ‘আয়িশাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনেই আমি পুতুল বানিয়ে খেলতাম। আমার বান্ধবীরাও আমার সাথে খেলা করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করলে তারা দৌড়ে পালাত। তখন তিনি তাদের ডেকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতেন এবং তারা আমার সঙ্গে খেলত। [ বোখারী ৬১৩০,মুসলিম৪৪/১৩, হাঃ ২৪৪০, আহমাদ ২৬০২০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮৭)

৪. আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তার সাত বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন। তাকে নয় বছর* বয়সে তার ঘরে বধুবেশে নেয়া হয় এবং তার সঙ্গে তার খেলার পুতুলগুলোও ছিল। তাঁর আঠারো বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন। (বোখারী,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৫)

*তিনি বলেন যে, তার ছয় বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোন হাদীসে ‘আয়িশাহ্ (রাযিঃ)-এর বিবাহ হওয়ার ছয় বছর আবার কোন হাদীসে সাত বছর বর্ণিত হয়েছে। হাদীসের ব্যাখ্যাকারদের মতে, ঐ সময় আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর বয়স ছয় পার হয়ে সাত বছর চলছিল। ফলে কোন হাদীসে ছয় বছরের উপর অতিরিক্ত সময় বাদ দিয়ে ছয় বছর গণনা করা হয়েছে, আবার কোন হাদীসে অতিরিক্ত সময়কে পূর্ণ বছর ধরে সাত বছর গণনা করা হয়েছে।

বহুবিবাহ এবং দাসি সেক্স

মোহাম্মদের স্ত্রীর সংখ্যা ছিল তেরটি। কোন কোন মতে নয়টি। নবী তাঁর অষ্টম বিয়েটি সম্পন্ন করেন ৬২৯ খৃস্টাব্দে তাঁরই পালিত পুত্র জায়েদের স্ত্রীর সঙ্গে যাঁর নাম ছিলো জয়নব বিনতে জাহাস । কেউ কেউ বলেছেন এটা সপ্তম বিয়ে, ইহুদি নারী জুয়াইরিয়ার সঙ্গে বিয়েটা ছিলো অষ্টম বিয়ে । তবে জয়নব বিনতে জাহাসের সঙ্গে বিয়েটাই অষ্টম বিয়ে বলে অধিক বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় । মুহাম্মদ অনেকগুলি বিয়ে করেছিলেন যা নিয়ে আজো সারা দুনিয়ায় চর্চা হয় । এত গুলো বিয়ের পরেও রেখেছিল একদল যৌনদাসী। দাসি মারিয়া (পরবর্তীতে মরিয়ম) ছিল তার প্রিয় যৌন দাসী।

লুটতারাজ

ইসলামে সৈন্যদের গনিমতের লোভ দেখিয়ে লুটতারাজে নামানো হত। তার পর পুরুষদের হত্যা এবং নারী, শিশু এবং সম্পদ গনিমত হিসেবে বন্ঠন করা হতো।

. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন বনী কুরায়যার ইয়াহূদীরা সা‘দ ইবনু মা‘আয (রাঃ)-এর ফায়সালা মুতাবিক দূর্গ থেকে বেরিয়ে আসে, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ডেকে পাঠান। আর তিনি তখন ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন। তখন সা‘দ (রাঃ) একটি গাধার পিঠে আরোহণ করে আসলেন। যখন তিনি কাছে আসলেন, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা ‘তোমাদের নেতার দিকে দন্ডায়মান হও।’ তিনি এসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসলেন। তখন তাঁকে বললেন, ‘এগিয়ে যাও এরা তোমার ফায়সালায় রাজী হয়েছে। সা‘দ (রাঃ) বলেন, ‘আমি এই রায় ঘোষণা করছি যে, তাদের মধ্য হতে যারা যুদ্ধ করতে পারে তাদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারী ও শিশুদের বন্দী করা হবে।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি তাদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তা‘আলার ফয়সালার মত ফয়সালাই করেছ।’ (৩৮০৪, ৪১২১, ৬২৬২) (মুসলিম ৩২/২২ হাঃ ১৭৬৮, আহমাদ ১১১৬৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮২৬)

এ রকম অনেক হাদিস আছে এবং মোহাম্মাদ নিজেও যুদ্ধবন্দী নারী ভোগ করেছে।

নারী বিদ্বেষী

আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ যদি দু’জন পুরুষ না থাকে তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক (সাক্ষী হিসেবে নিয়োগ কর)। (সূরা আল-বাকারাহঃ ২৮২)

. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নারীদের সাক্ষ্য কি পুরুষদের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? উপস্থিতরা বলল, অবশ্যই অর্ধেক। তিনি বলেন, এটা নারীদের জ্ঞানের ত্রুটির কারণেই। (৩০৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৮২)

“মেয়েদের উপর রয়েছে পুরুষের প্রাধান্য।”
(সূরা নিসা আয়াত ৩৪)

সহিহ্ বোখারি ভল্যিউম ৭, হাদিস ৩৩:
উসামা বিন যায়েদ বলেছেন, নবী বলেছেন যে আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না।

সহিহ্ মুসলিম, বই ৩১ হাদিস ৫৯৬৬:
আবু মূসার বর্ণনা মতে নবী (দঃ) বলেছেন: “পুরুষদের মধ্যে অনেকেই ত্রুটিমুক্ত কিন্তু নারীদের মধ্যে কেউ-ই ত্রুটিমুক্ত নয়, কেবল ইমরানের কন্যা মেরী এবং ফারাওয়ের স্ত্রী আয়েশা ছাড়া।”

নবী যখন জানতে পারলেন যে ইরান (তৎকালীন পারস্য) এর রাষ্ট্রপ্রধানের কন্যাকে পারস্যবাসী নিজেদের বাদশাহ বানিয়েছে তখন এ খবর শুনে রাসূল (সাঃ) এরশাদ করলেন-
“যে জাতি নিজেদের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারের দায়িত্বসমূহ কোন নারীর ওপর সোপর্দ করে সে জাতি কখনোই প্রকৃত কল্যাণ এবং সার্থকতা লাভ করতে পারে না।” ……………………………(বুখারী,তিরমিযী,নাসাঈ)

আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘‘এবং যদি কোন নারী স্বীয় স্বামী হতে রূঢ়তা কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে’’ এ আয়াত প্রসঙ্গে বলেন, এ আয়াত হচ্ছে ঐ মহিলা সম্পর্কে, যার স্বামী তার স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখতে চায় না; বরং তাকে তালাক দিয়ে অন্য কোন মহিলাকে বিয়ে করতে চায়। তখন তার স্ত্রী তাকে বলে, আমাকে রাখ এবং তালাক দিও না বরং অন্য কোন মহিলাকে বিয়ে করে নাও এবং তুমি ইচ্ছে করলে আমাকে খোরপোষ না-ও দিতে পার, আর আমাকে শয্যাসঙ্গিনী না-ও করতে পার। আল্লাহ্ তা‘আলার উক্ত আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, ‘‘তবে তারা পরস্পর আপোষ করলে তাদের কোন গুনাহ নেই, বস্তুতঃ আপোষ করাই উত্তম।’’ (সূরাহ আন-নিসাঃ ৪/১২৮)[২৪৫০](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৭)

সাহল ইবনু সা‘দ সা‘ঈদী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যদি কোন কিছুতে অকল্যাণ থেকে থাকে, তবে তা আছে নারী, ঘোড়া ও বাড়িতে। (৫০৯৫) (মুসলিম ৩৯/৩৪ হাঃ ২২২৬, ) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৫৯)

উপরোক্ত ইসলাম ধর্মের মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রমাণ গুলোর মতো আরও অসংখ্য প্রমাণ দেয়া যাবে যা মুসলমানরা প্রতি দিন কনে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে প্রতিনিয়ত চলছে শিক্ষক কর্তৃক ছেলে শিশু ধর্ষণ। এসব অপরাধে করেও যে সব মুসলিমরা সমকামীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নত করার অপপ্রয়াস চালান তারা যেন আগে ইসলামকে নিষিদ্ধ করেন এবং নিজেদের চিন্তাধারার পরিবর্তন করেন।

শুধু মাত্র ভিন্ন মতের কারণে যে কুরাআন অমুসলিমদের ব্যাপারে এরকম বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয় সেই কোরআন হাদিসে সমকামীদের ব্যপারে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য অসমীচীন নয়। কিন্তু সমকামীদের নিয়ে ইসলাম ধর্ম সমালোচনার নৈতিক অধিকার রাখে না। কারণ ইসলাম ধর্মের নবী মোহাম্মদ নানা অনৈতিক ও মানবতাবিরোধী কাজের সাথে জড়িত ছিল। হাদিস থেকে কিছু নমুনা তুলে ধরা হলঃ

গণহত্যাঃ

ইবনু ‘আউন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাফি‘ (রহ.)-কে পত্র লিখলাম, তিনি জওয়াবে আমাকে লিখেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানী মুস্তালিক গোত্রের উপর অতর্কিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের গবাদি পশুকে তখন পানি পান করানো হচ্ছিল। তিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা এবং নাবালকদের বন্দী করেন এবং সেদিনই তিনি জুওয়ায়রিয়া (উম্মুল মু’মিনীন)-কে লাভ করেন। [নাফি‘ (রহ.) বলেন] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) আমাকে এ সম্পর্কিত হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি নিজেও সে সেনাদলে ছিলেন। (বোখারী, আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৭৩)
এ রকম আরো অনেক হাদিস ও কুরআনের আয়াত আছে।

শিশুকামীতাঃ

১.‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেন, দু’বার তোমাকে আমায় স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আমি দেখলাম, তুমি একটি রেশমী কাপড়ে আবৃতা এবং আমাকে বলছে ইনি আপনার স্ত্রী, আমি তার ঘোমটা সরিয়ে দেখলাম, সে মহিলা তুমিই। তখন আমি ভাবছিলাম, যদি তা আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে, তবে তিনি তা বাস্তবায়িত করবেন। (মুসলিম ৪৪/১৩, হাঃ নং ২৪৩৮, আহমাদ ২৪১৯৭)(বোখারী,আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬১৩)

২. হিশাম এর পিতা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদিনার দিকে বের হওয়ার তিন বছর আগে খাদীজাহ (রাঃ)-এর মৃত্যু হয়। তারপর দু’বছর অথবা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করে তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বিবাহ করেন। যখন তিনি ছিলেন ছয় বছরের বালিকা। তারপর নয় বছর বয়সে বাসর উৎযাপন করেন। (বোখারী,আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬১৪)

৩. ‘আয়িশাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনেই আমি পুতুল বানিয়ে খেলতাম। আমার বান্ধবীরাও আমার সাথে খেলা করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করলে তারা দৌড়ে পালাত। তখন তিনি তাদের ডেকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতেন এবং তারা আমার সঙ্গে খেলত। [ বোখারী ৬১৩০,মুসলিম৪৪/১৩, হাঃ ২৪৪০, আহমাদ ২৬০২০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮৭)

৪.আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তার সাত বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন। তাকে নয় বছর* বয়সে তার ঘরে বধুবেশে নেয়া হয় এবং তার সঙ্গে তার খেলার পুতুলগুলোও ছিল। তাঁর আঠারো বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন। (বোখারী,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৫)

*তিনি বলেন যে, তার ছয় বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোন হাদীসে ‘আয়িশাহ্ (রাযিঃ)-এর বিবাহ হওয়ার ছয় বছর আবার কোন হাদীসে সাত বছর বর্ণিত হয়েছে। হাদীসের ব্যাখ্যাকারদের মতে, ঐ সময় আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর বয়স ছয় পার হয়ে সাত বছর চলছিল। ফলে কোন হাদীসে ছয় বছরের উপর অতিরিক্ত সময় বাদ দিয়ে ছয় বছর গণনা করা হয়েছে, আবার কোন হাদীসে অতিরিক্ত সময়কে পূর্ণ বছর ধরে সাত বছর গণনা করা হয়েছে।

বহুবিবাহ এবং দাসি সেক্স

মোহাম্মদের স্ত্রীর সংখ্যা ছিল তেরটি। কোন কোন মতে নয়টি। নবী তাঁর অষ্টম বিয়েটি সম্পন্ন করেন ৬২৯ খৃস্টাব্দে তাঁরই পালিত পুত্র জায়েদের স্ত্রীর সঙ্গে যাঁর নাম ছিলো জয়নব বিনতে জাহাস । কেউ কেউ বলেছেন এটা সপ্তম বিয়ে, ইহুদি নারী জুয়াইরিয়ার সঙ্গে বিয়েটা ছিলো অষ্টম বিয়ে । তবে জয়নব বিনতে জাহাসের সঙ্গে বিয়েটাই অষ্টম বিয়ে বলে অধিক বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় । মুহাম্মদ অনেকগুলি বিয়ে করেছিলেন যা নিয়ে আজো সারা দুনিয়ায় চর্চা হয় । এত গুলো বিয়ের পরেও রেখেছিল একদল যৌনদাসী। দাসি মারিয়া (পরবর্তীতে মরিয়ম) ছিল তার প্রিয় যৌন দাসী।

লুটতারাজ

ইসলামে সৈন্যদের গনিমতের লোভ দেখিয়ে লুটতারাজে নামানো হত। তার পর পুরুষদের হত্যা এবং নারী, শিশু এবং সম্পদ গনিমত হিসেবে বন্ঠন করা হতো।

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন বনী কুরায়যার ইয়াহূদীরা সা‘দ ইবনু মা‘আয (রাঃ)-এর ফায়সালা মুতাবিক দূর্গ থেকে বেরিয়ে আসে, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ডেকে পাঠান। আর তিনি তখন ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন। তখন সা‘দ (রাঃ) একটি গাধার পিঠে আরোহণ করে আসলেন। যখন তিনি কাছে আসলেন, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা ‘তোমাদের নেতার দিকে দন্ডায়মান হও।’ তিনি এসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসলেন। তখন তাঁকে বললেন, ‘এগিয়ে যাও এরা তোমার ফায়সালায় রাজী হয়েছে। সা‘দ (রাঃ) বলেন, ‘আমি এই রায় ঘোষণা করছি যে, তাদের মধ্য হতে যারা যুদ্ধ করতে পারে তাদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারী ও শিশুদের বন্দী করা হবে।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি তাদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তা‘আলার ফয়সালার মত ফয়সালাই করেছ।’ (৩৮০৪, ৪১২১, ৬২৬২) (মুসলিম ৩২/২২ হাঃ ১৭৬৮, আহমাদ ১১১৬৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮২৬)

এ রকম অনেক হাদিস আছে এবং মোহাম্মাদ নিজেও যুদ্ধবন্দী নারী ভোগ করেছে।

নারী বিদ্বেষী

আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ যদি দু’জন পুরুষ না থাকে তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক (সাক্ষী হিসেবে নিয়োগ কর)। (সূরা আল-বাকারাহঃ ২৮২)

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নারীদের সাক্ষ্য কি পুরুষদের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? উপস্থিতরা বলল, অবশ্যই অর্ধেক। তিনি বলেন, এটা নারীদের জ্ঞানের ত্রুটির কারণেই। (৩০৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৮২)

“মেয়েদের উপর রয়েছে পুরুষের প্রাধান্য।”
(সূরা নিসা আয়াত ৩৪)

সহিহ্ বোখারি ভল্যিউম ৭, হাদিস ৩৩:
উসামা বিন যায়েদ বলেছেন, নবী বলেছেন যে আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না।

সহিহ্ মুসলিম, বই ৩১ হাদিস ৫৯৬৬:
আবু মূসার বর্ণনা মতে নবী (দঃ) বলেছেন: “পুরুষদের মধ্যে অনেকেই ত্রুটিমুক্ত কিন্তু নারীদের মধ্যে কেউ-ই ত্রুটিমুক্ত নয়, কেবল ইমরানের কন্যা মেরী এবং ফারাওয়ের স্ত্রী আয়েশা ছাড়া।”

নবী যখন জানতে পারলেন যে ইরান (তৎকালীন পারস্য) এর রাষ্ট্রপ্রধানের কন্যাকে পারস্যবাসী নিজেদের বাদশাহ বানিয়েছে তখন এ খবর শুনে রাসূল (সাঃ) এরশাদ করলেন-
“যে জাতি নিজেদের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারের দায়িত্বসমূহ কোন নারীর ওপর সোপর্দ করে সে জাতি কখনোই প্রকৃত কল্যাণ এবং সার্থকতা লাভ করতে পারে না।” ……………………………(বুখারী,তিরমিযী,নাসাঈ)

আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘‘এবং যদি কোন নারী স্বীয় স্বামী হতে রূঢ়তা কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে’’ এ আয়াত প্রসঙ্গে বলেন, এ আয়াত হচ্ছে ঐ মহিলা সম্পর্কে, যার স্বামী তার স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখতে চায় না; বরং তাকে তালাক দিয়ে অন্য কোন মহিলাকে বিয়ে করতে চায়। তখন তার স্ত্রী তাকে বলে, আমাকে রাখ এবং তালাক দিও না বরং অন্য কোন মহিলাকে বিয়ে করে নাও এবং তুমি ইচ্ছে করলে আমাকে খোরপোষ না-ও দিতে পার, আর আমাকে শয্যাসঙ্গিনী না-ও করতে পার। আল্লাহ্ তা‘আলার উক্ত আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, ‘‘তবে তারা পরস্পর আপোষ করলে তাদের কোন গুনাহ নেই, বস্তুতঃ আপোষ করাই উত্তম।’’ (সূরাহ আন-নিসাঃ ৪/১২৮)[২৪৫০](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৭)

সাহল ইবনু সা‘দ সা‘ঈদী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যদি কোন কিছুতে অকল্যাণ থেকে থাকে, তবে তা আছে নারী, ঘোড়া ও বাড়িতে। (৫০৯৫) (মুসলিম ৩৯/৩৪ হাঃ ২২২৬, ) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৫৯)

উপরোক্ত ইসলাম ধর্মের মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রমাণ গুলোর মতো আরও অসংখ্য প্রমাণ দেয়া যাবে যা মুসলমানরা প্রতি দিন কনে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে প্রতিনিয়ত চলছে শিক্ষক কর্তৃক ছেলে শিশু ধর্ষণ। এসব অপরাধে করেও যে সব মুসলিমরা সমকামীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নত করার অপপ্রয়াস চালান তারা যেন আগে ইসলামকে নিষিদ্ধ করেন এবং নিজেদের চিন্তাধারার পরিবর্তন করেন।

তাশনোভা ফেরদৌসী