নিলয় হত্যার দায় কে? ইসলাম নাকি জঙ্গি

আমি নিলয় নীলকে চিনি না। তিনি আমার ফ্রেন্ড লিস্টে ছিলেন না। নিলয় নীল এখন অতীত। তিনি একদিন ছিলেন, আজ সকালেও তিনি ছিলেন। এখন নেই। ইসলামের নবীকে ভালোবাসে এমন কিছু পিশাচ নীলকে খুন করেছে কুপিয়ে। নবীর প্রতি এভাবেই ভালোবাসা দেখাতে হয়। যারা খুন করেছে তাঁরা আল্লাহ্‌র তৈরি বেহেস্তে যাবে। সেখানে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে অনন্ত সুখ।
দেশে ধার্মিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পথে বেরোলে বোরকা-হিজাব আলো ঢেকে দেয়। গোড়লির উপর প্যান্ট তুলে মুখে সুন্নত ধরে রেখে ল্যাপটপ নিয়ে চলে মুমিন। নিঃসন্দেহে এটা অশনি সংকেত। ধর্মকর্ম করার হার বেড়ে যাওয়া মানে প্রাচীন অসভ্য আর অনৈতিক প্রথাগুলোকে আরো বেশী করে জাগিয়ে তোলা। সুসভ্য আধুনিকতা থেকে, বিজ্ঞান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া। আমাদের দেশে তাই-ই হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ্‌, ধর্মে মতি হচ্ছে। আমরা ফিরে যাচ্ছি ১৪০০ বছর আগে। যখন নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো কাফেরের গর্দানের পেছনে আঘাত করো। কাফের কে? যে আল্লাহ আর তাঁর নবী মোহাম্মদকে বিশ্বাস করেনা।
আল্লাহ বলেছে ইসলামের নবী মোহাম্মদ শ্রেষ্ঠ মানব। মুসলমান তাঁকে প্রাণাধিক ভালোবাসে। তাঁর জীবনবিধান অনুসরণ করলে বেহেস্ত পাওয়া যায়। খাঁটি মুসলমান হওয়া যায়। যারা মোহাম্মদকে অনুসরণ করে তাঁদের সাথে তুলনা করার জন্য আমি আল্লাহ্‌র তৈরি দুনিয়ায় কোন ঘৃণ্য পশুর নাম খুঁজে পাইনা।
ইসলামের বিরুদ্ধে যে কথা বলবে তাঁকে ইসলাম খুন করার বৈধতা দেয়। নীল খুন হবার পর তাই বাংলার ঘরে ঘরে লোকজন খবরের পর খবর তল্লাসি করছে নীল ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছিলো কিনা? যদি করে থাকে তবে নীলের খুন বৈধ। আর যদি না করে থাকে তবে খুনের “বিচার চাই”। কেউ অপরাধী কি নিরপরাধ, কাউকে খুন করা যাবে কি যাবেনা তাঁর রায় আরো দেড় হাজার বছর আগে দিয়ে গেছে মোহাম্মদ। মোহাম্মদ কে? তিনি ইসলামের শেষ নবী।
নাস্তিক যারা তাঁরা সরব শুধু তাঁদের লেখালেখিতে। সবাই যে লেখেন তাও নয়। তাঁরা ওয়াজ করেন না, দিনে পাঁচবার মাইকে গলা ফাটান না, কাউকে জোর করে বা অনন্ত সুখের আশ্বাস দিয়ে অবিশ্বাসী করে তুলেন না। তাঁরা শুধু ভুলকে ভুল বলেন, অন্যায়কে অন্যায় বলেন। এখানেই সমস্যা। ভুল বা অন্যায় কাকে বলে সেটা শেখাবে ইসলামের নবী। যে নবীকে অনুসরণ করলে পশুর চাইতে হীন বর্বর হতে হয়।
ইসলামের লু হাওয়া বইতে শুরু করেছে। মৌসুমি বায়ু হিন্দুয়ানী। ইসলাম ধেয়ে আসছে তাঁর নাঙ্গা তলোয়ার নিয়ে। ইসলাম কায়েম করতে হবে। জুম্মাবারে মসজিদে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ হবে। খাবার চুরির অপরাধে শিশুর হাত কেটে নেয়া হবে। ধর্ষিতাকে চাবুক মারা হবে বা পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হবে। ঘরের মা, বোন আর স্ত্রীকে কালো বোরকায় ঢেকে হেরেমখানা খোলা হবে। সেখানে নবীর মহিমা গাওয়া হবে।
নীল তাঁর আকাশ নীল রাখতে চেয়েছিল। আকাশটা অনেক বড়। সেখানে নীলের জায়গা হবে। বাংলাস্তান নীলদের জন্য নয়।
পুতুল হক।
বিঃদ্রঃ এর থেকে ভালো জবাব আর পেলাম না।