শাপলা রানীর দেশে

সন্ধ্যার সবটুকু অন্তর্মুখী সুখ শেষ হয়নি তখনও-
উদাসীন অলসতায়।
বাতাসের সুঘ্রানটা স্থবির থমকে দাড়ায়নি তখনও-
ত্রাসে অথবা অভিমানে।
অনন্ত নীলিমা বিষয়ক শেষ প্রশ্নটি তখনও-
নিরুত্তরের মুখোমুখি অন্তরে-অন্তরে,
প্রচন্ড অভিজ্ঞানে।
এমনকি গর্বিত সোনাব্যাঙ সম্রাট তখনও
পরিত্যাক্ত জলাটার বাকী অংশটুকু
শেষ করতে পারেনি আপ্রান সাতারে,
অবাধ প্রজ্ঞাহীনতায়।
এমন এক মহেন্দ্রক্ষনে,
এবং সুন্দর-অসুন্দরের ভাব সন্ধিক্ষনে
মনের অন্দরমহলে উঠলো অনাহুত সাধ:
মহার্ঘ অথচ অযত্নলালিত।
সপ্ন-সাধনায় শাপলা রানীর গভীর শুভ্রতায়,
কেন গড়ে তুলিনা মনে-
এক সোহাগ-উপনিবেশ।
যেখানে প্রনয়-খ্যাপা শাপলা রাজার তরে
মনে সাধ জাগানিয়া দুর্বোধ্য এক অপার ভাবে
রাজায়-রানীতে মিলবে দোহে-
সোহাগে আবেগে শোভায় সেথায়-
অসম্ভবের দেশে।