মোডারেট মুসলিমদের কৌশল: ধর্মীয় সংকটের আড়ালে সুবিধাবাদ

ধর্মীয় কট্টর, উগ্রবাদী মুসলিমদের স্বর তুলতে তুলতে মোডারেটরা মাঝরাস্তায় থেমে যান; মৌলিক প্রশ্নে এসে ধর্মের সমস্যাগুলো পাশ কাটিয়ে যান। নারীর অধিকার, সমকামিতা, মুক্তচিন্তা, সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা – সবকিছুতে প্রকাশ্যে কথার ফুলঝুরি ছড়ালেও, যখন বাঁচা-মরার সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তারা ধর্মীয় ফতোয়া, সামাজিক অভ্যস্ততা, ধর্মান্ধতার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে চান না।

মোডারেট মুসলিমরা বোঝেন, নিজের পরিচিতি না ধরে, কৌশলে ধর্মের সংকটকে আড়াল করে, দুই পাশে দুইরকম মুখোশ পরে, সামাজিকভাবে সুবিধা আদায় করা যায়। সাম্প্রদায়িক  বিশৃঙ্খলা, ধর্মান্ধতার সমর্থন-নিন্দা—সবই সুবিধাবাদী স্বার্থসিদ্ধি।  ধর্মে যত বড় সমস্যা, মানবাধিকারের ঘুণ, চেপে রেখে, “আমরা সবার”  বলে আত্মরক্ষার ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ান।

কিন্তু সত্যিকার ‘মোডারেট’  যদি হন, তাহলে ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি – সবক্ষেত্রেই  গোঁড়ামির, পিতৃতন্ত্রের, ভণ্ডামির প্রশ্ন তুলুন। সুবিধাবাদী ধর্মান্ধতার আড়ালে  আত্মবিভ্রান্তি, অমানবিকতা আর মুক্তচিন্তার প্রতিবন্ধকতা এসবের বিরুদ্ধে বরং সোচ্চার হোন।

ধর্মের সংকট, সমাজের সমস্যার আড়ালে সুবিধাবাদী কার্যকলাপ, ‘মোডারেট’ নামধারী মুসলিমদের আসল উদ্দেশ্য – নিজেদের দোষ চাপা রাখা, মৌলিক প্রশ্ন এড়ানো, ফাঁকা মানবতার শ্লোগান দেন ঘুরে বেড়ানো। এই ভণ্ডামি, স্বার্থের দ্বৈত চরিত্র আরও বেশি সাহসিকতা ও প্রশ্নের দাবি রাখে।