কুরআনের উপর প্রস্রাব করতে সমস্যা কোথায়?

আমি কুরআনে প্রস্রাব করতে কোন সমস্যা দেখি না। কিছু অক্ষর এবং কাগজের তৈরি বস্তুতে কেউ প্রস্রাব করলে সমস্যা কোথায়? এই মূত্রত্যাগের বিরোধিতা করার কারণ আমি এখনও বুঝতে পারিনি।

আপনি যখন সিরামিকের তৈরি কমোডে প্রস্রাব করেন, তখন এর পবিত্রতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না, কিন্তু কিছু কাগজে প্রস্রাব করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর যুক্তি কি? দয়া করে বলবেন?

বদমাশ মোহাম্মদ আল্লাহর নাম নিয়ে যা বলেছে বা প্রচার করেছে তার ভিত্তি কি? এমনকি আল্লাহ কে, মোহাম্মদ কে? তিনি কি কখনো আল্লাহকে উপস্থাপন করতে পেরেছেন, যার জন্য তিনি কথা বলেন? আল্লাহ তার কানে ফিসফিস করে যে দাবী করেছেন তার প্রমাণ কি? এই বিগ বাগার একজন সাইকো বা বড় ভণ্ড। এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। দুর্বৃত্তদের বিচার ও বিচারের আওতায় আনা উচিত ছিল।

কিছু মানুষ কুরআন নামক একটি খারাপ বই চায়, কেউ এটির উপর পা রাখতে চায়, কেউ চা এবং কফির কাপ রেখে দেখাতে চায় – এর কোনটিতে আমার কোন সমস্যা নেই। এমনকি প্রস্রাব করার সময়ও নয়। প্রস্রাব করা একজনের ব্যক্তিগত ব্যাপার, ব্যক্তিগত পছন্দ। আমার মাথাব্যথা নেই যে তিনি কোথায় এবং কী করবেন তার উপরে। সে শুধু সমালোচনা করতে চাইলেও আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। এসব বিষয় আমাকে আকর্ষণ করে না। আমি মনে করি, এগুলোর কোনোটাই নাস্তিকতার সমস্যা নয়- এগুলো রুচি-সংস্কৃতি বা শিক্ষার সমস্যা। এটাকে আমি সমস্যাও বলি না, কারণ এর মাধ্যমে আমার স্বার্থ-সংস্কৃতি-শিক্ষাকে অভিজাতত্ব বলে দাবি করা যায়। আপনি বরং ভালো লাগে নাই বলে গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারেন। এই বেশি কিছু নয়।

ফলে যারা এটা করে-তারা আমার রুচি ও সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। পৃথিবীর অনেক মানুষের সাথে আমার ফেস টু ফেস খুব একটা সম্পর্ক নেই। কিছু নাস্তিক যারা মাঝে মাঝে বেশিরভাগ পুরুষ শাউভিনিস্ট এবং যৌনতাবাদী বিশ্বাসীদের মত কাজ করে, যখন তাদের কোন যুক্তি নেই, তারা সবাইকে অগভীর ট্রল করে – আমি তাদের সাথেও মিলিত নই। কিন্তু এসব নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। আমি তাদের দিকে তাকাই না। যা বলছিলাম, পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের সাথে আমার মিল নেই। রুচির সাথে মেলে না, সংস্কৃতিতে মেলে না, আদর্শের সাথে মেলে না, রাজনীতিতে মেলে না, চিন্তায় মেলে না, চিন্তায় মেলে না… নানা বিষয়ে মেলে না – এই অমিলকে আমি স্বাভাবিক বলে মেনে নিই। .

ফলে যাদের সাথে আমার মিল নেই তাদের পাড়ায়ও যাব না। যে আমার রুচির সাথে মেলে না, সে আমার পাড়ায় আসবে না। এটাই স্বাভাবিক। তাই যারা কুরআনের উপর প্রস্রাব করে তাদের নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। কারণ আমি জানি, এটা নাস্তিকতার সমস্যা নয়- এটা তার রুচির একটা অবস্থান। তারা আসলে কুরআনের প্রতি ক্ষোভ, ঘৃণা দেখাতে চেয়েছিল। কেউ চা বা কফির মগ রেখে এটি করে, কেউ ঘৃণা প্রকাশের জন্য টয়লেট পেপার হিসাবে কুরআন ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ কুরআনের আয়াত নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা করে এটা করে। এই কাজের পদ্ধতির বৈচিত্র্য – সবই তাদের রুচি, সংস্কৃতি শিক্ষার উপর নির্ভর করে।

আপনি প্রস্রাব করার জন্য কাউকে হত্যা করতে পারবেন না। আপনি একজনকে মারধর না করে, তাদের সম্পত্তির ক্ষতি না করে শাস্তি দিতে পারবেন না, এমনকি অনুভূতিতে আঘাত করার জন্যও নয়। কেউ যদি নিজের বইয়ের উপর প্রস্রাব করতে চায়, আপনি অনুভূতিতে আঘাত পেতে পারেন, কিন্তু আপনি তার মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করতে পারেন না। তাই  আমেরিকা ইউরোপ কেউ কোরানের উপর প্রস্রাব করেছে বলে তাকে জবাই করে হত্যা বা ওই দেশের প্রতি জিহাদ ঘোষণা করে অমুসলিমদেরকে মারার ঘোষণা দেবেন এই দুঃসাহস আপনাদের হয় কি করে? আপনারা কি মানুষের পর্যায়ে পরেন? কেন আপনারা জিহাদের নামে টেররিষ্ট অ্যাটাককে আপনারা সমর্থন করবেন? বিদেশের অনেকেই তো যীশুর ছবি আকা অন্তর্বাস পরিধান করে, জুতা বা স্যান্ডেল এই উপর ক্রস আঁকা ছবি, মাদার মেরি বা যীশুর ছবি থাকে। কই তাদেরকে ধর্ম অবমাননা করেছে বলে বা যীশুকে অপমান করেছে বলে ওদের কেউ খুন করে না বা মারধোর করে না। জবাই করে হত্যা করে না। আপনারা কেমন ধর্ম পালন করেন যে ধর্ম রক্ষায় অমুসলিম বা নাস্তিকদের হত্যা করতে চান? এতো দুঃসাহস হয় কি করে আপনাদের? সুশিক্ষিত আর মানবিক  হতে বোধশক্তি লাগে চাপাতি আর ছুরি লাগে না।