শূদ্র নারী প্রতি ঘৃণা করা হয়, কিন্তু যদি সে সুন্দরী হয়, তাহলে তাকে ভোগ করা হয়,
উচ্চ বর্ণের পুরুষেরা যদি নিম্ন বর্ণের নারীকে বিয়ে করে থাকে, তাদের সন্তানেরা শূদ্র হিসেবে গণ্য হয়। মনুসংহিতা ৩/১৫
নিজের বর্ণের বাইরে শূদ্র নারীকে প্রথম বিয়ে করলে ব্রাহ্মণের নরক লাভ এবং ব্রাহ্মণ্য হারানোর শাস্তি হয়। মনুসংহিতা ৩/১৭
যে ব্রাহ্মণ নিজের বর্ণের নারী বিয়ে না করে শূদ্র নারীকে বিয়ে করে, সেই সকল ব্রাহ্মণকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো উচিত নয়। মনুসংহিতা ৩/১৫৫
নারী, জ্ঞান, ধর্ম, শুদ্ধতা, উপকারী কথা এবং বিভিন্ন কারুকার্য সমস্ত স্থান থেকেই শিখতে হবে। এখানে ‘নারী’ শব্দের ব্যবহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিম্ন বর্ণ থেকেও নারী গ্রহণ করা যায়, যেমন অন্যান্য মূল্যবান বস্তু যেকোনো স্থান থেকে গ্রহণ করা যায়। মনুসংহিতা ২/২৪০
বৈশ্যার গর্ভজ, ক্ষত্রিয়ার গর্ভজ, এবং ব্রাহ্মণীর গর্ভজ সন্তান যখন শূদ্রের ঔরসে জন্মায়, তাদের বর্ণসঙ্কর এবং অস্পৃশ্য বলে গণ্য করা হয়। মনুসংহিতা ১০/১২
শূদ্রের ঔরসে উচ্চ বর্ণের নারী থেকে জন্মানো সন্তান চণ্ডাল হিসেবে গণ্য হয়, এবং তাদের অবস্থান সমাজের সবচেয়ে নিম্ন স্তরে। মনুসংহিতা ১০/৩০
যে রাজ্যে বর্ণসঙ্কর জাতি বৃদ্ধি পায়, সেই রাজ্য উচ্চবর্ণের লোকের অভাবে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। এই কারণে বর্ণসঙ্কর জাতিকে রাজ্য থেকে নির্মূল করা প্রয়োজন। মনুসংহিতা ১০/৬১
ব্রাহ্মণ ও অন্য দুই দ্বিজ বর্ণের স্বজাতি নারীর গর্ভ থেকে জন্মানো সন্তান এবং অনুলোমে ব্রাহ্মণের ঔরসজাত দুই সন্তান দ্বিজ ধর্মাবলম্বী হয়, এবং তাদের উপনয়ন সংস্কার প্রযোজ্য হয়। অপরদিকে, এই তিন দ্বিজের প্রতিলোমজ সন্তানেরা শূদ্রধর্মী হয়ে থাকে এবং তাদের কোনো সংস্কার প্রযোজ্য হয় না, যা মনুসংহিতা ১০/৪১ বলে।
মনুসংহিতা ১০/২৭-২৮ অনুযায়ী, শূদ্রের প্রতিলোমজাত সন্তান দ্বিজজাতির প্রতিলোমজ সন্তানের চেয়ে উৎকৃষ্ট বলে গণ্য হয়।
“চণ্ডালের নিষাদী স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান অন্ত্যাবসায়ী হয়, যারা শ্মশানের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে” এবং এই সমস্ত প্রতিলোম জাতি সমাজের নিকৃষ্টতম ও ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকে, যা মনুসংহিতা ১০/৩৮-৩৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে।
শূদ্রের ঔরসে জন্মানো ব্রাহ্মণীর গর্ভজ সন্তান (চণ্ডাল) স্বাভাবিকভাবেই অপকৃষ্ট বলে গণ্য হয়। মনুসংহিতা ১০/৬৬-৬৭ এ এই ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
মনুসংহিতা ৫/৮৬ অনুসারে, প্রতিদিনের ধর্মীয় কার্যকলাপ পরবর্তী যদি চণ্ডাল প্রভৃতি অশুচি দর্শন হয়, তাহলে পবিত্রতা পুনরুদ্ধারের জন্য বেদোক্ত মন্ত্র জপ করা উচিত।
মনুসংহিতা ১০/১৫-১৬ অনুযায়ী, শূদ্র থেকে প্রতিলোমক্রমে উৎপন্ন সন্তান, যেমন বৈশ্যা এবং ব্রাহ্মণীর গর্ভজ সন্তান, তারা পরলোকিক পিতৃ কার্যে কোনো অধিকার রাখে না এবং তাদের নিম্ন মানের বলে বিবেচিত করা হয়।
পতিত, চণ্ডাল, পুক্কস, মূর্খ, ধনমদে আত্মগর্বিত রজক এবং অন্যান্য নিম্ন জাতি বা পেশার মানুষের সাথে এক মুহূর্তের জন্যও সহবাস করা উচিত নয়। মনুসংহিতা ৪/৭৯
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য বর্ণের লোকেরা উচিত নয় যে তারা শূদ্রকে মৃতদেহ বহনের জন্য নিযুক্ত করবে। মৃতদেহের শূদ্র স্পর্শে দূষিত হওয়া মৃতাত্মার জন্য অনুকূল নয়। যদি কোনো আত্মীয় না থাকে, তবে ক্ষত্রিয়ের সাহায্য নিতে হবে, তার অনুপস্থিতিতে বৈশ্যের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, এবং সেও না থাকলে শেষ অবলম্বন হিসেবে শূদ্রের সাহায্য গ্রহণ করা যেতে পারে। মনুসংহিতা ৫/১০৪