মুসলিম ধর্মপ্রচারকদের অসততা এবং তার প্রভাব

মুসলিম ধর্ম প্রচারকদের একটা কৌশল হল, তারা কিছু না জানলেও শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাসের সাথে ভুলভাল কথা বলে যাওয়া। তারা ভালোভাবেই জানে যে তাদের সাধারণ মুসলিম শ্রোতারা কোনোদিন তাদের দাবীগুলির সত্যতা যাচাই করে দেখবে না, কারণ তাদের সেই সামর্থ্য নেই। ধর্ম প্রচারকগণ সরল মুসলিমদের সামনে এমন একটি ভাবমূর্তি তৈরি করে রাখে, যা দেখে সাধারণ অজ্ঞ মুসলিমরা মনে করে ধর্মপ্রচারকরা অপ্রতিরোধ্য, বিশাল জ্ঞানী, তাদের ভুল প্রমাণ করা অসম্ভব ইত্যাদি।

কিন্তু, বাস্তবতা অনেকটাই আলাদা। তাদের দেওয়া তথ্যগুলি একটু যাচাই করে দেখলেই বোঝা যায় যে সেগুলি মিথ্যা অনুবাদ, কুযুক্তি এবং ভুল ও অর্ধসত্য তথ্যে পরিপূর্ণ। আহমেদ দিদাত, জাকির নায়েক থেকে শুরু করে বর্তমানে ফেসবুকে লাইভ করা কিছু ধর্মপ্রচারক এই একই কৌশল ব্যবহার করে থাকে।

যুগ পরিবর্তিত হয়েছে। পূর্বে কোনো বই থেকে রেফারেন্স দিলে সেটি খুঁজে মিলিয়ে দেখা অনেক সময়সাপেক্ষ কাজ ছিল। বর্তমানে, বিজ্ঞানের কল্যাণে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা সহজেই ঘরে বসেই বিভিন্ন বইয়ের সফ্টকপি পাওয়া সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। যার দরুন, তাদের অসততাগুলি সাধারণ জনগণের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে। এর ফলে, তাদের ভিডিওগুলি সকলের কাছে হাসির খোরাকে পরিণত হচ্ছে এবং সেসকল ধর্মপ্রচারকদের অন্ধভাবে ভরসা করে যারা ইসলামকে সত্য বলে মনে করতে শুরু করেছিল তারাও সংশয়ে পড়ে ইসলাম ত্যাগ করছে।