ছোট বেলায় স্কুলে গরু রচনা পড়ে নাই এমন একটা মানুষও পাওয়া যাবে না । রচনার একটা পয়েন্টই থাকতো ” গরুর উপকারিতা ” নামে । সেই পয়েন্টে হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান সবাই তখন লিখেছেন যে, গরু গৃহপালিত উপকারী প্রাণী । গরুর মাংস প্রোটিনের ঘাটতি পূরণসহ এতে রয়েছে ভিটামিন বি-এর সব গুণাগুণ। এছাড়াও গরুর চামড়া অনেক ব্যবসাসফল এবং হালচাষের ক্ষেত্রেও গরুর ভূমিকা অনস্বীকার্য ।
কিন্তু বড় হয়ে দেখলাম গৃহপালিত এই উপকারী প্রাণীটা মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে । গরুর মাংস খাওয়া আর না খাওয়ার উপর ঠিকে আছে দুইটা প্রধান ধর্ম । মুসলিম মানেই সে গরুর মাংস খাবে আর হিন্দু মানেই সে গরুর মাংস খাবে না ।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের ক্যান্টিনে সেই সৃষ্টিলগ্ন হতেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বজায় রাখতে নাকি গরুর মাংস রান্না করা হয় না । তো, ইদানিং হঠাৎ করে সুপ্রিম কোর্টের ক্যান্টিনে গরুর মাংস রান্না হওয়াতে হিন্দু ধর্মের আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে । তাদের দাবী গরুর মাংস রান্নার মাধ্যমে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা হচ্ছে । ক্যান্টিনে গরুর মাংস বন্ধ নিষিদ্ধে হাইকোর্টে আবেদনও জানিয়েছেন তারা ।
হিন্দুরা গরুর মাংস খেলে তার ধর্মে সেটা আঘাত হানে আবার অন্যদিকে মুসলমানদের গরু জবাই ছাড়া ধর্ম পালনে ব্যাঘাত ঘটে ।
এখন বুঝতেছি এতো প্রাণী থাকতে গরু রচনার কেনো এতো গুরুত্ব ছিলো ।