এটি একটি ইংরেজি শব্দ। যার অর্থ ধর্ম নিন্দা বা ঈশ্বরের নিন্দা। এটি ধর্মীয় গোড়ামি ও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য জঘন্য এক আইন। রোমান ক্যাথলিক ধর্ম যাজকরা চার্চের আধিপত্য ও নিজেদের ক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখার জন্য ও ভিন্ন মতালম্বীদের শায়েস্তা করা ও উত্থান ঠেকানোর জন্য এই আইনের প্রবর্তন করে। সেই হিসেবে বলা চলে এটা রোমান ক্যাথলিকদের উদ্ভাবিত শব্দ এবং রোমান যাজকদের রচিত এক অমানবিক জঘন্য আইন। এই আইনটিতে বলা হয়েছে, “এমন কোন প্রকাশন, যাতে ঈশ্বর, যীশু খ্রিস্ট, বাইবেল অথবা অন্য কোন প্রার্থনা পুস্তক বা ধর্মগ্রন্থ যা উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে মানুষের অনুভূতিকে আঘাত বা আহত করে অথবা চার্চের বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টি করে কিংবা চরিত্রহীনতার প্রসার ঘটায় তাই ব্লাসফেমি”।
সেন্ট থমাস একুইনাস ব্লাসফেমিকে পাপ বলেছে। ইহুদি আইনে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ান ষষ্ঠ শতাব্দীতে ব্লাসফেমির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে। সেই থেকেই খ্রিস্টান ধর্মে এই আইনের সূচনা।
পরবর্তী সময়ে ইউরোপে এই আইনের মৃত্যু ঘটলেও মুসলিম দেশগলোতে ব্লাসফেমি আইনের প্রকট ছড়িয়ে পরে। অন্যান্য ব্যাপারগুলোর মতোই ইহুদি নাসারাদের এই অমানবিক আইনটিকে মুসলমানরা অতি যত্ন সহকারে আপন করে নেয় এবং এর সর্বোচ্চ ব্যবহার শুরু করে।
ধর্মের দোহাই দিয়ে এই আইনটিকে একমাত্র ইসলামী দেশগুলোই বর্তমান দুনিয়ায় টিকিয়ে রেখেছে। আমাদের দেশে “৫৭ ধারা” কে এই আইনের ক্লোন হিসেবে উল্লেখ করা যায়। যার সর্ব উৎকৃষ্ট! ও সর্বোচ্চ নোংরা ব্যবহার আমরা প্রায়ই প্রতক্ষ্য করছি। ৫৭ ধারা একটি আতঙ্কের নাম হলেও এই ধরনের ব্লাসফেমি আইন দিয়ে অতীতেও মুক্তচিন্তাকে রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি আর ভবিষ্যতেও হবে না।