বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা ঠেকাতে কওমি সরকারকে সজাগ রাখতে সোচ্চার হোন

বাংলাদেশে হয়তো আরেকটা বড় জঙ্গি হামলা হতে পারে। এমন কি শ্রীলংকার মতো হামলা বাংলাদেশে হলে অতি ঘনবসতি দেশ হিসেবে কেজোয়ালটি হবে বহু বহু গুনে বেশী।

শ্রীলংকার সফল হামলার পর আইএসের পরবর্তী টার্গেট বাংলাদেশ হতে পারে। ইসলামিক স্ট্যাট থেকে বহু আইএস যোদ্ধা বাংলাদেশে ফেরত এসেছে অনেকটা বিনা নজরদারীতেই। আর নতুন জঙ্গি রিক্রুটে বাংলাদেশের মতো সহজ দেশ দুনিয়ার আর কোথাও পাওয়া যাবে কি? মনে হয় না।

তাছাড়া বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো ডিফেন্স এজেন্সি চলে ডাইরেক্ট রাজনৈতিক নির্দেশে ও হুজুগে। এখানে এজেন্সি গুলোর ভেতরে পেশাদারিত্বের চেয়ে, বিশেষজ্ঞদের স্বাধীন মতামতের চেয়ে সরকার প্রধানকে খুশি রাখা ও পাবলিক হুজুগকে সামাল দিতে বেশি ব্যস্ত দেখা যায়।

হলী আর্টিজানের পরে যেই শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনে নির্দেশ বা নজর দিয়েছে এমনি সব গুলো এজেন্সি ও তাদের চেলারা নজর দিয়েছে। তার আগে কিন্তু দেশে কোন জঙ্গি ছিল না, শুধু নাস্তিক ছিল(?)!

আবার তিনি যখন মাদক কারবারিদের দিকে নজর দেন- পুরু বাংলাদেশ তখন সেদিকে হেলে পড়ে। এমনকি তিনি সমুদ্রে পা ভেজালেও দেশ সমুদ্রামুখি হয়ে দাড়িয়ে যায়।

প্রতি বছর হাজার হাজার ওয়াজ মাহফিলে সোজা বাংলায় জঙ্গি রিক্রুটের তালিম চলছে। লাখে লাখে মসজিদ- মাদ্রাসায়া জঙ্গি প্রজেক্টে ব্রেন ওয়াশের কাজ চলছে। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে যা বলছে তার প্রায় সবই জঙ্গিদের পক্ষে যাচ্ছে।

সম্ভাব্য টার্গেট হিন্দু, খ্রিস্টানসহ কাফের, বিশেষ করে আমেরিকান এলাইদের প্রতি ডান-বাম নির্বিশেষে বিষুদগার চলছেই। পাবলিক প্লেসে ইহুদি আমেরিকার বিরুদ্ধে কিছু বলা মাত্রই দেখবেন কিভাবে সহমত ভাইদের সাড়া পাচ্ছেন, বিপরীতে তাদের সামান্য প্রশংসা করলেও বিপদ হতে পারে। এসবই জঙ্গিদের উদ্বোদ্ধ্য করে, হামলার প্লট তৈরি হতে সাহায্য করে।

আর তাদের নেতৃত্বে আছে আইএস ফেরত চৌকশ জেহাদি গ্রুপ গুলো, যারা ইউএস এলাই বা জাতী সংঘ বাহিনীর সাথে কৌশলগত যুদ্ধে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।

আরেকটা কারণ দেখেন- জামাত ও তারেক জিয়ার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ফিরে পাওয়ার ফর্মাল রাস্তা প্রায় বন্ধই বলা চলে। দেশে ভয়াবহ হামলা করে দেশকে পর্যুদস্ত করে আওয়ামী লীগকে হঠানোর একটা চেষ্টা তারেকের থাকা অসম্ভব কি? অতীত কি বলে!

বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা ঠেকাতে কওমি সরকারকে সজাগ রাখতে সোচ্চার হোন।