আমার ধারনা দেশে সফল ইসলামাইজেশনের ফলে হঠাৎ করে গণতন্ত্র চলে আসলেও আর টিকবে না। ইসলামীক গ্রুপ গুলো হঠাৎ জেগে উঠবে!
(আপনারা সবাই জানেন- শেখ হাসিনা সুচিন্তিত ভাবে কয়েকটা ভয়ানক ও সুদুর প্রসারী কাজ করেছে যা একটা সফল ইসলামীক ডিনাস্টি তৈরীতে অত্যাবশ্যক। যেমন- ১। আওয়ামী লীগ থেকে স্যাকুলার মাইন্ডেড রাজনীতিবিদদের কোনঠাসা, স্যাকুলার মাইডেন্ড বুদ্ধিজীবিদের চুপ করিয়ে দেয়া ও নিজেদের পক্ষ রাখা এবং দেশের সকল স্যাকুলার তরুন তথা শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়া। ২। রাজনৈতিক সংগঠন করার মতো নতুন নেতৃত্ব তৈরীর পথ বন্ধ করে দেয়া। ৩। সকল বিরোধী দল ও বিরুদ্ধ মতবাদ ধ্বংস করে দেয়া ইত্যাদি। উপরের সবগুলোই যেকোন গণতন্ত্রের জন্য আবশ্যিক।)
দেশে জনগণের বিপ্লব ছাড়া স্মোথ গণতন্ত্র চলে আসলে বা হত্যা কান্ডের মাধ্যমে ডিনাস্টির
পরিবর্তন হলে বা ইরাক-লিবিয়ার মতো বিদেশী শক্তি দ্বারা গণতন্ত্র আসলেও তা হবে ভয়াবহ।
আফগান, ইরাক, লিবিয়ার মতো নিয়ন্ত্রনহীন রক্তারক্তি হয়ে যাবে!
শেখ হাসিনা সর্বস্তরে ঘরে ঘরে ইসলামীক তাজা বোমা ফিট করলেও কেউ যাতে না ফোটাতে পারে তাও কঠোর ভাবে দমন করছে! শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে নেমে যাক-তখন সবাই বলবে, কি! কইছিলাম না! শেখ হাসিনা তারচেয়ে অনেক ভাল ছিল!
এখন বলি শেষ কথাটা। আমাদের প্রজন্মের আর ক্ষমতা নাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সফল গণজাগরণ করার। তারা হাতুরী, হেলমেট, সহমত, হালুয়া রুটি বা বিদেশ পাড়ি দিয়ে টুকরা টুকরা হয়ে পড়েছে!
আবার, প্রতিটা বিপ্লবের পরে একটা ক্লান্তিকর বা ভীতিকর স্থিরাবস্থা আসে। যেমন স্থিরাবস্থা এসেছিল ভাষা আন্দোলনের পর, স্বাধীনতা আন্দোলনের পর, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের পর, আর এখন এসেছে শাহবাগের পর! কেউ কেউ একে পরবর্তি বিপ্লবের প্রস্তুতিকালও বলতে পারেন!
আর সেই হিসেবেই, আরেকটা সফল গণতান্ত্রিক গণজাগরণ হবে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীরা যখন বড় হবে, তারা যখন ইউনিতে ঢুকবে!
এরশাদ-বিএনপি-জামাতের সময় রাজাকারদের বিষদাঁত ভাঙ্গতে আমাদের রক্তে যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, সেই রকম আগুন পুন্জিভুত হচ্ছে এসব তরুনদের রক্তে!
ততদিন পর্যন্ত শেখ হাসিনার ডিনাস্টিতে এখন শেখ হাসিনা, তারপরে শেখ রেহেনা এবং সর্বশেষ ব্যর্থ শাসক হবে জয় বা ববি! ব্যর্থ ও সর্বশেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মতো জয় বা ববিও হবে শেষ শেখ শাসক!
বাংলাদেশের ঘুরে দাড়ানো দেখতে চাইলে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন!