দেশের মানুষ নানান দূর্নীতি অনিয়মের শিকার হয়ে ক্ষ্যাপা কুত্তা হয়ে গেছে। ফলে তারা যে কাওকে গণধোলাই দিয়ে মেরে ফেলছে। আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের এতোটকু আস্থা নাই। বস্তুত সরকারের নিজেরও বিচার ব্যবস্থায় আস্থা শূন্যের কোঠায়। ক্রস ফায়ার তার প্রমাণ। এর জন্য কারা দায়ী, জনগণ, না প্রশাসন?
সাঁওতালদের উপর বর্বরোচিত হামলার চার্জশিট দেওয়া হইছে। তাতে নাম নাই পুলিশ সদস্যদের। অথচ ভিডিওতে দেখছি পুলিশ সদস্যরা নিজে কীভাবে সাঁওতাল পল্লীতে আগুন দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে চারজন সাঁওতাল আদীবাসিকে খুন করে বাঁশে বেঁধে লাশ নিয়ে যাচ্ছে।
একজন উপসচিব ফেরি আটকে রাখায় মারা গেলো একটা বাচ্চা ছেলে। ইউএনও ফোন উদ্ধারে ব্যবহার করেন রাষ্ট্রের ডুবুরি। নির্লজ্জের মতো আরেক গ্রুপ আমেরিকায় চলে যায় নাসাকে ধন্যবাদ দিতে। সেচ্ছাচারিদের স্বর্গরাজ্য এখন বাংলাদেশ।
বরিশালের যে সার্জেন্ট সরকারের কর্মকান্ডে অতি উৎসাহি হয়ে স্ট্যাটাস দিল, তাকেই ট্রাক চাপা দিয়ে মারল। কুমিল্লায় একজন ভিডিও ক্যামেরাম্যানকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে মাদক চোরাচালানি হিসেবে বিজিবি ক্রস ফায়ার দিল। পুলিশ বলছে থানায় তার নামে কোন কেইসই নাই, সে কোন মাদক চোরাচালানি ছিল না।
সুতারং এ দেশে কেউই নিরাপদ না। যে কোনো মুহুর্তে আপনি অপমৃত্যুর শিকার হতে পারেন। ট্রাক চাপা খেতে পারেন। মাদক চোরাকারবারির মিথ্যা অভিযোগে ক্রস ফায়ার খেতে পারেন। কথিত ছেলেধরা হিসেবে গণধোলাই খেতে পারেন। ডেঙ্গু হয়ে প্লাটিলেটের অভাবে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাতে কাতরাতে মারা যেতে পারেন। ভেজাল খেয়ে ক্যান্সার হয়ে ছয়মাসের মধ্যে অক্কা পেতে পারেন।
তাই আমি মনে করি, বেঘোরে প্রাণ দেওয়ার চেয়ে ঘুণে ধরা এ সমাজের পাছায় লাত্থি মেরে প্রাণ দেওয়া যথেষ্ট সম্মানের। অন্তত, মৃত্যুকালে এতোটুকু আফসোস থাকবে না এই ভেবে যে, আমি জেনেশুনে ভেড়ার পালের সদস্য হতে পারি নি। যে কয়দিন বেঁচে ছিলাম, সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলতে শিখেছিলাম।