শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট ও বিসিবি, আমরা কোথায় আছি?

বাংলাদেশকে আরাফাত সানি ও তাসকিনকে অবৈধভাবে বোলিং নিষিদ্ধ করার পর অনেকেই শ্রীলঙ্কার উদাহরন দিচ্ছেন। কিভাবে শ্রীলঙ্কা নিজেদের বোলারকে রক্ষা করতে পুরো দল খেলা বর্জন করেছিল।

ড্যারেল হেয়ার মুরালিধরনকে অনেকবার চাকিং এর কারনে নো বল ডাকেন। এর প্রতিবাদে ক্যাপ্টেন রানাতুঙ্গা দল নিয়ে ম্যাচ বর্জন করেন। ইদানিং অনেকেই মাশরাফিকে বিশ্বকাপ বর্জনের ডাক দিচ্ছেন তাসকিন-সানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

শ্রীলঙ্কাতে কয়দিন পর পর আজব আজব বোলার আসে। মুরালিধরন, মালিঙ্গা, অজন্তা মেন্ডিস। এই তিনজনেই চাকিং এর অভিযোগে অভিযুক্ত।

তিনজনেই পরীক্ষাগারে গিয়েছেন, তিনজনেরই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকা হয়। মালিঙ্গা তো মোটামুটি বল থ্রো করে ফিল্ডারদের মত। তিনজনেই বহাল তবিয়তে খেলে গেছেন এবং অনেক রেকর্ডেরও অধিকারী।

কারন কি? কি কারনে খেলতে পারলেন?

তিনজনেরই নাকি জন্মগতভাবে হাত বাঁকা। এই অজুহাতে তারা খেলা চালিয়ে গেছেন।

কিন্তু আসল কাহিনী হল, তিনজনেই এন্টি রেসিজম এর ফসল। তখন খুব জোরেশোরে ” Say No to Racism ” ক্যাম্পেইন চলছিল। শ্রীলঙ্কা টিমের যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেই শ্রীলঙ্কা বলত আমরা রেসিজমের শিকার।
আর তখন শ্রীলঙ্কা টিম ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী দল। এই এন্টি রেসিজম কাজে লাগিয়ে তিনজনই দিব্যি খেলে গেছে।

ড্যারেল হেয়ার এখনও বলেন, মুরালিধরন একজন চাকার।

শ্রীলঙ্কার এই ঘটনা আমাকে বারবার ” লাগান ” মুভির কথা মনে করিয়ে দেয়। একজন পঙ্গু বল করলেই বল স্পিন করত। মুরালিধরনের কোন অর্জনই আমি কোনদিন স্বীকার করবনা। যদি তাকে খেলাতেই হয়, পঙ্গুদের ক্রিকেট খেলতে পারত।

আইসিসি হল শক্তের ভক্ত, নরমের যম। এখন শক্ত হবেন নাকি নরম হবেন ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে বিসিবির উপর। যদি নরম হন, ভবিষ্যতে আমাদের আরো বোলারদের ব্যান করলে তখন কিছু বলতে পারবেন না। মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকতে হবে।