আমি জানিনা আপনারা কেউ বঙ্গবন্ধুর খুনী সৈয়দ ফারুক রহমানের জবানবন্দী পড়েছেন কি না বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার সময় কিংবা ফারুকের আইনজীবি খান সাইফুর রহমান এবং মবিনুল হকের বক্তব্য শুনেছেন কি না। ওপেন টিভিতে যেই খুনী স্বীকার করেছিলো যে সেই খুন করেছে এবং সে-ই অন্যতম পরিকল্পক ইতিহাসের এই ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের, সেই খুনীই তার মামলা চলাকালে বলেছিলো যে এই টিভি সাক্ষাৎকার বানানো এবং ষড়যন্ত্রের অংশ।
ঠিক একই কথা অনুরণিত হয়েছে ফারুকের আইনজীবির যুক্তির সময়। এই কথাগুলোই গ্রহণ করেছিলো ফ্রিডম পার্টির পান্ডারা এবং তারাও সে সময় অনলাইন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার চালিয়েছিলো যে ফারুকের মত আরেকজনকে বসিয়ে এবং উন্নত টেকনোলজি দিয়ে খুনী ফারুকের ওই খুন স্বীকার করবার ইন্টারভিউ বানানো হয়েছিলো। আমার ধারনা এই পুরো ব্যাপারটা এই মামলার তৎকালীন বিচারক গোলাম রসুল একটি উপভোগ্য কৌতুক হিসেবে নিয়েছিলেন, ঠিক যেমন আজকে দেইল্যা রাজাকারদের এপোলজিস্টদের তীব্র আর্তনাদের মধ্যে আমরা প্রচুর কৌতুক খুঁজে পাই।
দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার খুব গ্লানি লাগে। কেমন জানি একটা কষ্টের মত বোধ হয় আমার। একটা দেশে স্বেচ্ছায় কি করে একটা তরুন প্রজন্ম ছাগলের মত আচরণ করে কিংবা করতে পারে? কি করে এরা সাঈদীর এই লাম্পট্যের বীভৎস প্রমাণ এবং হাতে নাতে ধরা খেয়ে যাওয়ার নোংরা কাহিনী দেখেও বিভিন্ন যুক্তি দিতে পারে? পুরো ব্যাপারটাই কি ঈমানী যোশের নামে ছাগলামী? ছাগলও তো দেখে দেখে ভালো কাঁঠাল পাতা কিংবা সুন্দর ঘাস খেতে চায়, তবে কি এরা পাঁঠা কিংবা ছাগলের থেকেও নীচে?
বাংলাদেশের একটা তরুন প্রজন্ম “ছাগল”,এটা ভাবতেই আমার আসলে এক ধরনের ব্যাথাবোধ হয়। সো প্যাথেটিক…