আজ বিশেষ কিছু লিখতে ইচ্ছে করছেনা। এর মুল কারন আমার দেশ, আমার জন্মভূমি, বাংলাদেশ। আজ আমার এই সোনার বাংলাদেশ পাকিস্তান হওয়ার পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি চরম ভয়াবহ অবস্থায় আছে আমার এই ছোট্ট দেশটি। কোন ভাবেই এর পাকিস্তানপন্থি গতি রোধ করা যাচ্ছেনা। আর এতো অল্প জায়গায় বিপুল জনসংখ্যা নিয়ে আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা যে পাকিস্তানের চাইতেও অনেক বেশি ভয়াবহ হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
নদীনালা শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছপালা উজাড় হচ্ছে, ফসলি জমি কমে আসছে, তাপমাত্রা বাড়ছে, ভূমিকম্প কড়া নাড়ছে, খাবারে ভেজাল, দিন দিন আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ঘুষ-দুর্নীতির মাত্রা বৃদ্ধি, অসৎ কর্মচারী, অযোগ্য রাজনীতিবিদ, একের পর এক খুন, চাপাতির ঝনঝনানি, কুশিক্ষায় শিক্ষিত অযৌক্তিক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, অসহিষ্ণুতা, ভিন্নমতকে হত্যা করা, যুক্তির বদলে বিশ্বাস নিয়ে চোখ কান বুজে থাকা, অন্যায়-অবিচার দেখেও প্রতিবাদ না করা, আর সবশেষে ধর্মীয় উন্মাদনা তো আছেই। যে কয়টা মানুষ এই অন্ধকারের দিকে ধাবিত হওয়া রোধ করতে অন্তত বালির বাঁধের মত সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল, তাদেরকেও একে একে শেষ করে দেয়া হচ্ছে।
যারা বুঝতে পারছেন কিংবা সামর্থ্য আছে, তারা যে যেভাবে পারছেন দেশ ছেড়ে ভিনদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, শুধু নিজের প্রাণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনের নিশ্চয়তার খাতিরে। তবে কষ্ট হয় বাকিদের জন্য, যারা চাইলেও দেশ ত্যাগ করতে পারছেন না কিংবা কখনোই পারবেন না। শেয়াল-কুকুরের মতোই ভয়াবহ জীবন হবে তাদের। মাত্র অল্প কয়েকটা বছরে আমাদের সোনার বাংলাদেশের চেহারা কি হতে কি হয়ে গেলো, আমরা কি এই বাংলাদেশেরই স্বপ্ন দেখি? আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন? তারা কি চেয়েছিলেন আরেকটা পাকিস্তানের জন্ম দিতে? তারা কি চেয়েছিলেন তাদের নিজের মানুষদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য ভিনদেশে পাড়ি জমাতে হবে? তারা কি এ জন্যই রক্ত দিয়েছিলেন? এর দায়িত্ব কি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ সরকারের নিতে হবে না?