দেশের ৯৯ ভাগ মানুষই ইসলামী ভন্ডামীতে লিপ্ত দেখেই ফরহাদ মজহার হিজবুর তাওহিদ কিংবা হেফাজতের উপদেষ্টা হয়েছেন। এই লোক বা তার সমগোত্রীয়রা কোন জনমত তৈরি করেননি। বরং আগে থেকে ৯৯ ভাগ ইসলামী ভন্ডামীতে অভ্যস্থ পাবলিকের সমর্থন আদায় করে নিয়েছেন মাত্র…। এই জিনিসটা মাথায় রাইখেন।
ফরহাদ মজহারদের অপর পক্ষে আছেন প্রগতিশীল বলে দাবীদার বুদ্ধিজীবীরা। ইনারা নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দেন। ২০১৩ সালের পর নাস্তিক ব্লগারদের হত্যাকে ফরহাদ মজহারই কেবল নয়, ইনারাও ‘যদি কিন্তু’ দিয়ে জাস্টিফাই করেছেন। দ্বিজাতি তত্ত্বকে ইনারা সমর্থন করেন কিনা তাদের বেশির ভাগই গলা কেশে কথা বলেন না। এদেশের প্রগতিশীলদেরই সবচেয়ে বেশি আইডেন্টি ক্রাইসিস।
ফরহাদ মজহার বিএনপি-জামাতকে ক্ষমতায় আনতে চান। কিংবা হেফাজত মার্কা একটা সরকার বা জনগণের ইসলামী ভন্ডামীকে উশকে দিয়ে আওয়ামী এন্টি একটা শক্তিকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আনতে নানা রকম সার্কাসের চেষ্টা করছেন (যেমন অপহরণ নাটক)। এটা একটা পলিট্রিক্যাল গেইম। এর বেশি কিছু না। ফরহাদ মজহারদের পার্টি ক্ষমতায় আসতে পারলে বাংলাদেশের এমন কি হাতিঘোড়া হবে শুনি?
এখন তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়টার মিমাংসা হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে না পারলে বিএনপি-জামাত স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় এসে দেশকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলবে- এ রকম জুজু ভয় নির্লজ্জ্ব বেহায়া লীগ সমর্থকও এখন দেখাতে লজ্জ্বা পাবে। বাংলাদেশকে ইসলামীকরণের ক্রেডিট আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি দাবী অন্য কোন পার্টি করতে পারবে না। বাংলাদেশ যদি একটা ইসলামী শাসনের দিকে সত্যিকার অর্থে নিয়মতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মধ্যে থেকে যেতে সক্ষম হয় সেটা আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ পারবে না। এই ক্ষমতা ফরহাদ মজহারের নেই।
ফরহাদ মজহারদের নিয়ে নাস্তিক ব্লগারদের তাই সময় নষ্ট করে লাভ নেই। তারা তাদের আসল লেখাটা লিখুক। পাবলিককে পরিবর্তন করুন দেখবেন ফরহাদ মজহারদের মত ধান্দাবাজদের বাজার নষ্ট হয়ে যাবে। সাদামাটা হিসাব।