এ মুহুর্তের সরকারের সামনে সবচাইতে জরুরীতম কাজ হচ্ছে আমারদেশ, নয়াদিগন্ত, সংগ্রাম, দিগন্ত টিভির সকল ধরনের প্রচারের লাইসেন্স বাতিল করে হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়া। সেই সাথে মাহমুদুর রহমানকে একটি কঠিন প্যাঁদানি দেয়া যেই প্যাঁদানির পর মাহমুদ যেন নিজের নামটি সম্পূর্ন ভাবে ভুলে যায়। এই লোকটি অত্যন্ত রকমের ভয়াবহ এবং কুৎসিত চিন্তার অধিকারী। শহীদ রাজীবকে নিয়ে আমার দেশ যা করছে তার সিম্পলী জনতাকে উষ্কে দেয়া একটা সংঘাতের দিকে।
এর আর কোন ব্যাখ্যা আমি খুঁজে পাচ্ছিনা। গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এই শব্দগুলো যে আসলে কিছু কিছু লোকের জন্য একটা অর্থহীন এবং অযৌক্তিক সেটি আমি মাহমুদুর আর আমারদেশ পত্রিকা না দেখলে হয়ত কোনোদিন বুঝতামই না। ব্লগে কুৎসা টাইপ লেখা কিংবা গ্যাঞ্জাম টাইপ লেখাকে বলে মেটা-ব্লগিং। সংবাদ পত্রে মনে হয় এর প্যারালাল একটা নাম আছে। যার নাম হলুদ সাংবাদিকতা। হলুদ সাংবাদিকতা কত প্রকার ও কি কি এটা আসলে আমারদেশ পত্রিকা পড়লে বোঝা যায়।
একটা মৃত ছেলের নামে মিথ্যা একটা ব্লগ বানিয়ে সেটি রেফার করে কলাম আসছে, সংবাদ আসছে অথচ সরকার কিছু করছে না। সরকারের এই নিরবতার প্রতিটি মুহুর্ত আমাকে হতাশ করে তোলে। আইন মানি, দেশের শাষন মানি বলেই বার বার রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে থাকি। ভাবি রাষ্ট্র এর ব্যাবস্থা নিবেই।
কিন্তু এইসব পথ চেয়ে থাকার ধৈর্য্য কেটে গেলে যদি জাগ্রত জনতা মাহমুদুরকে শাহবাগে চা খেতে নিয়ে যায় এবং চায়ের সাথে সব বিস্কিট, নাশতা একত্রে খেতে দেয়া হয়, সরকার কি সেই চা খাওয়ার বরবর্তী ঘটনা ট্যাকেল দিতে পারবে?
এর থেকে সরকার নিজেই তার ডেরায় চা খেতে নিয়ে যাক এখুনি, সেটাই সম্ভবত বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ইনফ্যাক্ট এটাই এখনকার করনীয়।