একটি টেলিফোন কলের গল্প

আজকে এক বন্ধু ফোনে কয়েকটা কথা বললেন। আমার নিজের কোন মন্তব্য নেই বাট পাঠকদের সাথে শেয়ার করি-তিনি বললেন, ” দোস্তো আমি যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হইতাম তাহলে প্রথমেই যেসব বুদ্ধিজীবিরা আমার দেশ, নয়া দিগন্ত, সংগ্রামে লেখে তাদেরকে আমি আমার এই দায়িত্বের প্রথম ৫ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা চিড়িয়াখানায় নিয়া বান্দরের খাঁচার বাইরে আরেকটা খাঁচায় আটকাইতাম, এদের নেতা বানাইতাম কাদের সিদ্দিকীরে, ১০ ঘন্টার মাথায় জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করতাম, ১৫ ঘন্টার মাথায় জামাত শিবিরের ৫০,০০০ হাজারের লাশ মাটিতে গন কবর দিতাম, আমার দেশের মাহমুদুরের নামাজে জানাজা পড়ত মানুষ ২০ ঘন্টার মাথায়, ২৪ ঘন্টার মাথায় দেশের শীর্ষ ১০০০ যুদ্ধাপরাধীর লাশ পাকিস্তানে কফিন সহ রওয়ানা দিত, পাকিস্তান লাশ না নিতে চাইলে বঙ্গপোসাগরে সেই লাশ ভাসত, দেশের যত জামাত-শিবিরের আস্তানা, টাকা পয়সা, ব্যাংক, বীমা, কোচিং সব রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আসত পরের দিন সকালে, ব্যারিস্টার রফিকুল হকরে হজে পাঠায়া দিতাম ৩য় দিনের মাথায়, আন্দালিব পার্থকে ডিউটি দিতাম প্রতিদিন সকালে উঠে তার ঐ ইউটিউবের ভাষন একবার করে জামা কাপড় খোলা অবস্থায় গুলিস্তানে দিয়ে আসবে এবং ভাষনের শেষে বলবে আমার বাবা চিনি চোর, আইন করতাম যে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে একটা শব্দ উচ্চারিত হইলে সবার সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হবে।

৪র্থ দিনের মাথায় আইন করতাম যে ধর্মীয় কোনো দল যাতে এই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে না পারে। মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যাবস্থা পরিবর্তিত হবে ৬ দিনের মাথায় এবং পৃথিবীর সব শ্রেষ্ঠ সুফীসাধকেরা ধর্ম শিক্ষা দিবেন। বাংলাদেশের সকল মসজিদের টেক ওভার করবেন সুফী সাধকেরা কিংবা সত্যকারের ধর্ম সম্পর্কে জানেন যারা, তাঁরা। আদিবাসীদের সকল দাবী দাওয়া কয়েক ঘন্টার মধ্যে পূরণ করতাম, ৭ম দিনের শুরুতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করবে বলে ঘোষনা দিতাম, বাংলাদেশী পাসপোর্টে পাকিস্তান যাওয়া নিষিদ্ধ করতাম, দিনের শেষে জাতির উদ্দেশ্যে একটা ভাষন দিয়া অদৃশ্য হয়ে যেতাম। ভাষনে বলতাম, প্রিয় বাঙ্গালী, “যান এইবার নাকে তেল দিয়া ঘুমান”

বন্ধুর এসব কথা শুনে আমার মাথা ভোঁ ভোঁ করছে, মুখ দিয়ে খালি এক লাইন বের হোলো- “কস্কি মমিন?”