নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কূটনীতিক গ্রেফতার নিয়ে প্রথম আলো সহ কয়েকটি দৈনিক সংবাদ শিরনাম করেছে ৷ বিদেশের মাটিতে আমাদের কূটনীতিক গ্রেফতার হওয়া অসম্মাজনক ৷ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া শহিদুল ইসলামের ঘটনাটি সরকার বিরোধীরা ফলাও করে প্রচার করছে ৷বছর তিনেক আগে এমন আরো একটি ঘটনা ঘটেছিল ৷ তখন এ বিষয়ে একটি লেখা দিয়েছিলাম ৷ ইউরোপ আমেরিকা সহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে তৃতীয় বিশ্বের কূটনীতিক পাড়ায় এমন ঘটনা গুলো দেখতে পাওয়া যায় ! কেন এমন ঘটনা ঘটে ? শহিদুল ইসলামের গ্রেফতারের অন্তরালের ঘটনা কি ?
বিশেষ মর্যাদা প্রাপ্ত কূটনীতিকদের নিজেদের গৃহকাজের জন্য দেশ থেকে গৃহকর্মী আনার সুযোগ পেয়ে থাকে ৷ এই গৃহকর্মী আনার ব্যাপারে নব্বই ভাগ ক্ষেত্রই যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়না ৷ অনেক সময় মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা বিসিএস পাশ করে কূটনীতিক হিসাবে প্রবাসে নিয়োগ পেলে,তাদের আত্বীয় স্বজন অথবা টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দের লোক নিয়ে আসে ৷
যারা টাকা দিয়ে গৃহকর্মী হিসাবে বিদেশে ইউরোপ আমেরিকাতে আসে,তারা যেকোনো বাহানায় থেকে যেতে চাই ৷ আমেরিকায় শ্রম আইনের সুবিধা নিয়ে,নিজেদের স্বার্থে এরা দেশের মান-সম্মান ভুলুন্ঠিত করে মিথ্যা অভিযোগ করে ! এই ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা করে কিছু
প্রবাসী বাঙালি ৷ গৃহকর্মী হিসাবে আসা এই মানুষ গুলো যেকোনো উপায় উন্নত দেশগুলোতে স্থায়ী হতে চাই ৷
এ ক্ষেত্রে সহজ উপায়,তাদের উপর অত্যাচারের মিথ্যা অভিযোগ এনে শ্রম আদালতে মামলা ঠুকে দেওয়া ৷ ঠিক যেন বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের অপব্যবহারের মত ৷
এই আইনের সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশের কূটনীতিক শহিদুল ইসলাম ৷ বিচারের ফলাফল কি হবে,সেটা সময় বলে দিবে,কিন্তু বাংলাদেশ যে বাংলাদেশিদের দ্বারা আরো একবার অসম্মানিত হলো !
কূটনীতিকদের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা গুলো যাতে সঠিক ভাবে ব্যবহার নিশ্চিত হয়,সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন,নাহলে ভবিষতে এধরণের ঘটনা আরো ঘটবে ৷