বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অত্যাচার এর মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে।বিগত বছরগুলোর এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় মন্দিরে কোরান রাখা, কোরানের উপর পায়খানা করে, ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অপবাদ সহ বিভিন্ন মিথ্যে অভিযোগে হিন্দুদের উপর আক্রমণ এবং সামাজিকভাবে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। হিন্দুদের হেনস্থা করতে এবার একের পর এক শিক্ষকদের উপর ধর্ম অবমাননার মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে চাইছে। সম্প্রতি কালে আমোদিনী পাল নামের একজন স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একজন স্কুল ছাত্রী বোরখা পরে আসায় তাকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়। এবং বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছরিয়ে দেয়া হয়। পুরো দেশের মুসলমান জনগোষ্ঠী একযোগে উত্তাল হয়ে সেই স্কুল শিক্ষিকার বিচার দাবি করল। আত্মরক্ষার্থে সেই স্কুল শিক্ষিকা নিজ ফেসবুকে আসল সত্য বললেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কেউ একজন সামিম আহাম্মেদ জয় তার ফেসবুক আইডি থেকে এই মিথ্যে ঘটনা টি পোষ্ট করে এবং পরে মঞ্জু সহ আরও বেশ কয়েকজন সেটি সংগ্রহ করে নতুন আঙ্গিকে রূপ দেয়। বিশেষত উনি ওই দিন কিছু স্কুল ছাত্রীদের স্কুল ড্রেস না পরে আসার কারণে অন্য একজন মুসলিম শিক্ষকের অনুরোধে ছাত্রীদের শাসন করেন। বিষয়টি আর পরিষ্কার হয় যখন আসল সত্য উতঘাতন হয়। বিদ্যালয়ে বিগত দশ বছর ধরে অনেক অনিয়ম হচ্ছিল যার সাথে প্রধান শিক্ষক এবং তার কিছু সহকারী জড়িত। তার চাকরির মেয়াদ শেষের পথে এবং আমোদিনী পাল যেন প্রধান শিক্ষিকার পদে না আসতে পারেন তাই তাই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার আনা হয়েছে।
হিন্দুদের দমন করতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে কোনরকম যাচাই না করেই তাদের উপর অত্যাচার চালায়।
তেমন আরও একটি ফেনির দাগণভুঁইয়া উপজেলার জায়লশকর ইউনিয়ন এর নেয়াজপুর এলাকার মকবুল আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিমল চন্দ্র ভৌমিক এর বিরুদ্ধে। ক্লাসে ছাত্রীকে বোরখা পড়তে নিষেধ করার অভিযোগ এ চাকরি থেকে বরখাস্ত আছেন। এই বিচারের দাবিতে ছাত্ররা রাস্তায় এসে মিছিল এবং স্লোগান দিচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে এত ছোট বাচ্চা এরা ধরমেরই কি বোঝে বা হিজাবের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এতই কি জ্ঞান হল যে নিজের শ্রেণী শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে রাজনীতিবিদদের মত স্লোগান দিচ্ছে।
বাংলাদেশকে হিন্দু শুন্য করার জন্য ইসলামিক সংগঠন গুলো এবার শিক্ষিত হিন্দু সমাজকে টার্গেট করেছে। বাংলাদেশ কে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান রাষ্ট্রের মত দেখতে চায় এরা। হিন্দুরা বিশেষ করে শিক্ষিত হিন্দুরা সমাজের যেন সুপ্রতিষ্ঠিত জায়গায় না আসতে পারে তাই মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে তাদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আর এই রকম ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কিছু না। এর পুনরাবৃত্তি অনেকবার হয়েছে। হিজাব নারীকে পরাতে বাধ্য করার জন্য রয়েছে অনেক ইসলামিক বিধান। রাষ্ট্রকে ইসলামপন্থি জঙ্গি জাতী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে ইসলামিক দলগুলোর কার্যক্রম বহুদিন ধরে চলে আসছে। সরকার সমঝোতার নামে মৌলবাদীদের আস্কারা দিয়ে মাথায় তুলেছে যার ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণ। মন্দির ভাঙ্গা, বাড়ি ঘরে অগ্নি সংযোগ, জোর করে ধরমান্তকরন, ধর্ষণ গুম এমন কি হত্যার মত ঘটনা ঘটাতেও এরা দ্বিধাবোধ করেনা।