নবী মুহাম্মদের পার্ভার্টনেস!

নবিজি একবার তার স্ত্রী হাফসার ঘরে দাসী মারিয়া কিবতিয়ার সাথে মিলিত হন। এমন অবস্থায় হাফসা চলে আসলে নবি বিব্রতকর অবস্থায় পরেন। হাফসার হুমকির মুখে তিনি কথা দেন যে তিনি আর কোনো দাসীর সাথে মিলিত হবেন না।

 

(সুত্র- ৬৬ঃ১ হে নবী, আল্লাহ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনায় তুমি কেন তা হারাম করছ? আর আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আল-বায়ান

 

[তাফসীর- মারিয়া ক্বিবত্বিয়া (রাঃ), যাঁর গর্ভে নবী করীম (সাঃ)-এর পুত্র ইবরাহীম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একদা হাফসা (রাঃ) র ঘরে এসেছিলেন। তখন হাফসা (রাঃ)  ঘরে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের (নবী (সাঃ) ও মারিয়া ক্বিবত্বিয়ার) উপস্থিতিতেই হাফসা (রাঃ)  এসে যান। তাঁকে নবী (সাঃ)-এর সাথে নিজের ঘরে নির্জনে দেখে তিনি বড়ই নাখোশ হলেন। নবী (সাঃ)ও এ কথা অনুভব করলেন এবং তিনি হাফসা (রাঃ) কে খোশ করার জন্য কসম খেয়ে মারিয়া ক্বিবত্বিয়া (রাঃ) কে নিজের উপর হারাম করে নিলেন। আর হাফসা (রাঃ) কে তাকীদ করলেন যে, তিনি যেন এ কথা অন্য কাউকে না বলেন।] )

 

উপস্থিত পরিস্থিতি সামলানো পর তাকে আল্লাহ জানায় যে সে যেন নিজেকে দাসী সঙ্গম থেকে বিরত না রাখে। কারণ দাসী সঙ্গম হালাল ব্যাপার। স্ত্রীদের ভয় বা সন্তুষ্টি আশায় যদি সে তার আল্লাহ প্রদত্ত উপহার অস্বীকার করে তবে ব্যাপারটা অনুচিত হবে।

 

কিন্তু হাফসা যখন আয়িশাকে ব্যাপারটা জানান তখন আয়াত আসে-

 

 

(সুত্র ৬৬ঃ৩ আর যখন নবী তার এক স্ত্রীকে গোপনে একটি কথা বলেছিলেন; অতঃপর যখন সে (স্ত্রী) অন্যকে তা জানিয়ে দিল এবং আল্লাহ তার (নবীর) কাছে এটি প্রকাশ করে দিলেন, তখন নবী কিছুটা তার স্ত্রীকে অবহিত করল আর কিছু এড়িয়ে গেল। যখন সে তাকে বিষয়টি জানাল তখন সে বলল, ‘আপনাকে এ সংবাদ কে দিল?’ সে বলল, ‘মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ আল্লাহ আমাকে জানিয়েছেন।’ আল-বায়ান)

 

আয়িশা আর হাফসাকে তিনি কথা দেন যে দাসীর সাথে আর মিলিত হবেন না। কিন্তু পরবর্তীতে আল্লাহর নিকট থেকে নির্দেশ আসে দাসী তার জন্য হালাল। তিনি দাসীর সাথে মিলিত হবেন, আর তার স্ত্রীরা তাকে কোনো বাধা দিতে পারবে না৷ যদি বাধা দেয় তবে নবি ওদের তালাক দিয়ে দেবেন।

 

(৬৬ঃ৫ সে যদি তোমাদেরকে তালাক দেয়, তবে আশা করা যায় তার রব তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী তাকে দিবেন, যারা মুসলিম, মুমিনা, অনুগত, তাওবাকারী, ‘ইবাদতকারী, সিয়াম পালনকারী, অকুমারী ও কুমারী। আল-বায়ান)

 

তবে তিনি বিবিও ছাড়তে চান না। তারা যদি মাফ চায় তবে তিনি ওদের মাফ করে দেবেন।

 

(৬৬ঃ৪ যদি তোমরা উভয়ে আল্লাহর কাছে তওবা কর (তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম)। কারণ তোমাদের উভয়ের অন্তর বাঁকা হয়েছে, আর তোমরা যদি তার বিরুদ্ধে পরস্পরকে সাহায্য কর তবে আল্লাহই তার অভিভাবক এবং জিব্রীল ও সৎকর্মশীল মু’মিনরাও। তাছাড়া অন্যান্য ফেরেশতারাও তার সাহায্যকারী। আল-বায়ান)

 

বাংলাদেশের মুমিন ভাইরা এসব তাফসীর পড়েন না বলে জানতেও পারেন না তাদের নবি কেমন পার্ভার্ট ছিলেন।