অনারকিলিং ইসলামের অপকর্মগুলো

ইংল্যান্ড অথবা অন্যান্য পশ্চিমা দেশে ওনার কিলিং অনেক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই সব নিয়ে ভাবছিলাম লিখব অনেক দিন ধরে কিন্তু লেখা হয়ে ওঠে নি। জোর পূর্বক ধর্ম পালনে বাধ্য করা। জোর পূর্বক বোরখা পরানো , ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেয়া, নিজের থেকে ৩০ ৪০ ৫০ বছরের ব্যাবধানে মেয়েদেরকে পুরুষের সাথে বিয়ে দেয়া এসকল বিষয়গুলো অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। আম্র আঁকেন প্রতিবাদ করি না? আমরা কেন এগুলোকে প্রশ্রয় দেই?
 
ধর্মোৎসারিত অপকর্মগুলোর সুবিশাল তালিকার একটি হচ্ছে অনার কিলিং: পরিবারে কলঙ্ক আনয়নকারী সদস্যকে (শতকরা প্রায় একশোভাগ ক্ষেত্রেই সদস্যা, কারণ পুরুষ কি কখনও পরিবারের কলঙ্কের কারণ হতে পারে! ‘কলঙ্কিনী’-র পুংলিঙ্গবাচক শব্দ ‘কলঙ্কী’-র ব্যবহার কেউ কি দেখেছেন কখনও?) পরিবারের অন্য সদস্যরা হত্যা করে এবং এর মাধ্যমে পরিবারের সম্মান ও সুনাম পুনরুদ্ধারিত হয়।
 
পরিবারের সদস্যদের জীবনের চেয়ে পরিবারের সম্মান বড়ো – এহেন কুৎসিত ধারণা পোষণকারী পারিবারিক-সম্মানবাতিকগ্রস্তদের সকলেই ধর্মবিশ্বাসী এবং তাদের মধ্যে শতকরা ৯০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। ইসলাম ধর্মের প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্যে হিন্দুধর্ম হানা দেয় মাঝেমধ্যে।
 
‘কলঙ্কের’ ধরনগুলো প্রায়শই এ ধরনের হয়ে থাকে: মেয়ের বেশরিয়তী পোশাক, অনৈছলামিক চলাফেরা, ভিন্নধর্মাবলম্বী বয়ফ্রেন্ড, বিবাহবহির্ভুত যৌনসম্পর্ক…
 
অনেক মুসলমান দাবি করে, ইসলামে অনার কিলিং-এর স্থান নেই; যারা এই কর্মটি করে, তারা করে ইসলামের নামে নয়, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক উদ্যোগে। সত্যিই তাই?
 
ইংরেজি ভাষায় একখানা বই আছে – Reliance of the Traveller: A Classic Manual of Islamic Sacred Law. রচনা করেছেন Ahmad ibn Naqib al-Misri.
 
 
অনুবাদের অস্পষ্টতা বিষয়ে মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী ধোঁয়া তোলার আগেই একটা ব্যাপার স্পষ্টভাবে জানিয়ে রাখা দরকার। সুন্নী মুসলিমদের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠান মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি এটির অনুবাদ অনুমোদন করে লিখেছে যে, অনুবাদ “corresponds to the Arabic original and conforms to the practice and faith of the orthodox Sunni Community…” (নিচের ছবিগুলোয় দেখুন)

 

মূল আরবিতে:

 

Book O, titled “Justice,” in section 1: এখনে দেখা যাচ্ছে, “Who is Subject to Retaliation for Injurious Crimes,”. section 01.1-এ লেখা: “Retaliation is obligatory … against anyone who kills a human being purely intentionally and without right…”. পড়ে ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে আসে।
 
 
কিন্তু এ কী! o1.2-এ বলা হচ্ছে, “The following are not subject to retaliation” … “Muslim for killing a non-Muslim” and “Jewish or Christian subject … for killing an apostate” এবং “(4) a father or mother (or their fathers or mothers) for killing their offspring, or offspring’s offspring”
 

ইসলামের চেয়ে বড়ো শান্তির ধর্ম আর নেই। বলেন, সোবহানাল্লাহ!

এখন দেখুন সেই ভয়াবহ ছবিটা:

ধর্ম পালনের স্বাধীনতা অবশ্যই দিয়েছে এসকল দেশ কিন্তু ধর্মের নামে মানবতা বিরোধী অপকর্ম গুলো অনেক দিন থেকেই হয়ে আসছে । লোকের অগোচরে বা দেশে নিয়ে গিয়ে খুন করা হচ্ছে এসকল নিরাপরাধ সন্তানদের আসলেই এগুলো দেখলে আর ছুপ কর এথাকা যায় না। ধর্মের সম্মান ছেলে মেয়েদের ইচ্ছার থেকে যখন বড় সেখানে ধর্ম আর ধর্ম থাকে না। অধর্ম হয়ে যায়। নিরাপরাধ মানুষ গুলো পৃথিবী থেকে এভাবেই চলে যায় আর আমরা এভাবেই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি।