ইসলামী সেক্যুলার ব্লগার’ নামের আজব চিজগুলো

বহুশ্বরবাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতা থেকেই দার্শনিকরা একেশ্বরবাদ ধারণা তৈরি করেন। কাজেই বহুশ্বরবাদ থেকে একেশ্বরবাদ কনসেপ্ট হিসেবে পোক্ত। যুক্তি হিসেবে নয়, তুলনামূলক ঈশ্বর কনসেপ্ট হিসেবে। একজন বিশ্বাসী হিন্দু তাই একেশ্বরবাদীর কাছে তার ঈশ্বরই যে সত্য এবং যৌক্তিক মানতে বাধ্য হবে। যে মানুষটা আগে একটা হনুমানকে দেবতা বলে বিশ্বাস করে নিয়েছে কোন রকম যুক্তি ছাড়াই, সমন্ত হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীকে বাস্তব সত্য বলে মনে করেছে- তার ধর্মান্তরণ তাই বিস্মিত কোন বিষয় না। আগে সে গাঁজা খেতো, এখন সে আফিন খায়- এটুকুই পার্থক্য।

কথা আসলে এটা নয়। নওমুসলিমদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়াতে একটা কুটপ্রচারের আভাস দেখতে পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ছয়জন দুর্ধর্ষ জঙ্গির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছিল। আইএস যখন তালেবানদের ছাড়িয়েও সালাফীদের (পূর্বপুরুষদের) অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করা শুরু করল তখন তাকে গিলে ফেললে মধ্যপন্থি মুসলমানের শ্যাম কূল কোনটাই থাকে না। তাই আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদিকে ইহুদী হিসেবে প্রচার করা হলো। ব্লগে দেখেছি যেসব হাদিসে মুহাম্মদকে শিশুকামী, যুদ্ধবাজ হিসেবে প্রমাণিত করে সেই হাদিসগুলোর বর্ণনাকারীকে ইহুদী থেকে কনভার্ট মুসলিম দেখিয়ে হাদিসকে জাল বা দুর্বল বলার চেষ্টা করত ‘ইসলামী সেক্যুলার ব্লগার’ নামের আজব চিজগুলো। ফিদেল ক্যাস্ত্র ছোটবেলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছিলেন। এখন সেই চিঠি দেখিয়ে যদি দাবী করা হয় ক্যাস্ত্র আসলে সাম্রাজ্যবাদীদের সমর্থক- যুক্তিটা কেমন হবে? এককালের পপ সিঙ্গার মদের গ্লাস হাতে ছবি তুলেছিলো। এখন পাক্কা ঈমানদার জিহাদী। তার আগের জীবনের সেই ছবি দেখিয়ে প্রমাণ করতে চাওয়া- এমন লোক কি ইসলাম সম্পর্কে কিছু জানে?

হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিতরা ইসলামের কিছু জানেন না তাই তারা জঙ্গি হচ্ছে। এই হচ্ছে আপাতত যুক্তি। এটা যদি পরশু মোদি ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে হিন্দুদের জঙ্গি দলে ঢুকিয়ে ইসলামকে বদনাম করাচ্ছে রোটে আমাদের সেজন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইসলামী হিস্টিতে মাস্টার্স করা আবু বকর বাগদাদীকে ইহুদী বানাতে যাদের দেরী হয়নি তাদের কাছে এটা কিছুই না। এর আগে বলা হয়েছিল মুসলমানদের ভোদাই পেয়ে ইহুদীরা ক্যাপ্টাগন পিল খাইয়ে তাদের জঙ্গি বানাচ্ছে। আচ্ছা ইহুদীনাসারদের বানানো লরেটলাঞ্চার, একেফরটিসেভেন, মিসাইল যদি মুসলমানরা ব্যবহার করতে পারে তাহলে তারা কেন ক্যাপ্টাগন ব্যবহার করতে পারবে না? ক্যাপ্টাগন খাইয়ে তারা কেন একটাও ইহুদী নাসারাকে জঙ্গি বানাচ্ছে না? যেমন ইহুদী খ্রিস্টান যাযকদের ধরে ক্যাপ্টাগন খাইয়ে যীশু-মুসার নামে ধর্মীয় হামলা চালাবে। এতে ইহুদী-খ্রিস্টান ধর্মের বদনাম হবে। যেমনটা মুসলমানরা দাবী করে থাকেন তাদের ধর্মকে বদনাম করতেই জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে ইহুদীরা…।