ছোটবেলার জীবনে হুজুর জিকির করার তালিমের বিশেষ কৌশল শিখিয়ে দিয়ে বলতেন যত ঝাঁকি তত নেকি;
আজকাল রাজনৈতিক দলগুলোর যত কর্মসূচী তত টাকা উপার্জনের উৎস! এবং এটি সরকারি/অসরকারি/ধর্মভিত্তিক সকল রাজনৈতিক দলের জন্যই সমভাবে প্রযোজ্য!
হরতাল কিংবা গণসংবর্ধনার নামে জনজীবনকে স্থবির করে রাজনৈতিক দলগুলোর পৈচাশিক উন্মত্ততার অবসান জরুরী।
কিন্তু কেনো? কারা? এই সকল আত্মঘাতী রাজনৈতিক কর্মসূচীর ঘোষণা দিচ্ছে?
মূল উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক ! একটি ছোট/মাঝারি/বড় যেকোনোও সাইজের যেকোনোও রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন! এই টাকা আসে চাঁদাবাজি থেকে। রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা হলেই চলে উৎসবমূখর পরিবেশে চাঁদাবাজি! যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয় তার সিকিভাগ খরচ হয় বাকি পঁচাত্তর ভাগ চলে যায় ঐ সকল নেতা কর্মিদের পকেটে!!
কিছুদিন পূর্বেও প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় গণসংবর্ধনার নামে জনদূর্ভোগমূলক কর্মসূচীর বিরুদ্ধে মনোভাব ব্যক্ত করায় সেবার চাঁদাবাজের দল ব্যর্থ হলেও এবারে শতভাগ সফল!
যারা পদ পদবি নিয়ে/ পদ পদবির জন্য রাজনীতি করে তাদের সাথে এসকল বিষয়ে কথা বলা অবান্তর। কারণ, তারা চরম অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে রাজনীতি করে! কিন্তু এর বাইরে যারা এই সকল জনদূর্ভোগমূলক কর্মসূচীর পক্ষে ধামা ধরে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ!