হাস্যকর হাদিস সমূহ পর্ব- ৬

হাদিসে নারী বৃদ্ধ শিশু সকল কে নিয়েই কোন না কোন আজব আজব কাহিনী দিয়ে হাদিস গুলোকে এভাবে ভহরিয়ে রেখেছে। এসকল বিষয় গুলো যত পড়ই তত বিরক্ত হই। আমি মণে করি আমাদের মতো যারা আছেন যারা নাস্তিক মানুষ ,এসকল অযৌক্তিক বিষয় মানা তাঁদের জন্য কত কষ্ট সাধ। জীবন একটা,তাই বাঁচা রমত বাঁচতে চাই। পরকালে রকথা চিনটা করে যে পরকালকে কখন উপলব্ধি করলাম না শুধু মাত্র অনুমানের ভহিত্তিতে যার বর্ণনা দেয়া। অথবা কেউ পরকাল থেকে এসে এর বর্ণনা আমার কাছে দেই নি তাহলে বর্তমান কে ছেড়ে শুধুমাত্র ভহয়ের কারণে ইসলামকে মানতে হবে?আমি তো এই ধর্মকেই মানি না।  

■কবরের দৈর্ঘ ৭০ হাত প্রশস্ত হয়ে যাওয়া।

গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)

অধ্যায়ঃ ৫৩। জান্নাত,জান্নাতের নি’আমাত ও জান্নাতবাসীদের বর্ণনা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)

হাদিস নম্বরঃ ৭১০৮

১৭. মৃত ব্যক্তির কাছে জান্নাত কিংবা জাহান্নামের ঠিকানা উপস্থিত করা হয়, আর কবরের শাস্তি প্রমাণ করা এবং তা থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা

৭১০৮-(৭০/২৮৭০) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দাকে যখন তার কবরের মধ্যে রেখে তার সঙ্গী-সাথীরা সেখান থেকে ফিরে আসে এবং সে তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায় তখন তার কাছে দু’জন ফেরেশতা এসে তাকে উঠিয়ে বসান। তারপর তাকে তারা জিজ্ঞেস করে, এ লোকটির ব্যাপারে তুমি কি বলতে? মু’মিন বান্দা তখন বলে,আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি,তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তার রসূল। তখন তাকে বলা হয়, জাহান্নামে তুমি তোমার আসন দেখে নাও। আল্লাহ তা’আলা তোমার এ আসনকে জান্নাতের আসনের দ্বারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তখন সে তার উভয় আসন অবলোকন করে নেয়।

বর্ণনাকারী কাতাদাহ্ (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, অতঃপর তার কবরকে (দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে) সত্তর হাত প্রশস্ত করে দেয়া হয় এবং সবুজ শ্যামল গাছের দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেয়া হয় কিয়ামাত পর্যন্ত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৯৫২, ইসলামিক সেন্টার ৭০১০)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

জন্মের সময় বাচ্চারা শয়তানের খোঁচায় কাঁদে

গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)

হাদিস নম্বরঃ [3286]

অধ্যায়ঃ ৫৯/ সৃষ্টির সূচনা

পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন

পরিচ্ছদঃ ৫৯/১১. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।

৩২৮৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক আদাম সন্তানের জন্মের সময় তার পার্শ্বদেশে শয়তান তার দুই আঙ্গুল দ্বারা খোঁচা মারে। ‘ঈসা ইবনু মরয়াম (আঃ)-এর ব্যতিক্রম। সে তাঁকে খোঁচা মারতে গিয়েছিল। তখন সে পর্দার ওপর খোঁচা মারে। (৩৪৩১, ৪৫৪৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৫৩)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

মেঘের ডাক মানে ফেরেশতার চিল্লানি।

গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]

অধ্যায়ঃ ৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ)

হাদিস নম্বরঃ ৩১১৭

১৪. সূরা আর-রা’দ

৩১১৭। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,ইয়াহুদীরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আবূল কাসিম! আমাদেরকে রা’দ (মেঘের গর্জন) প্রসঙ্গে বলুন, এটা কি? তিনি বললেনঃ মেঘমালাকে হাকিয়ে নেয়ার জন্য ফেরেশতাদের একজন নিয়োজিত আছে। তার সাথে রয়েছে আগুনের চাবুক। এর সাহায্যে সে মেঘমালাকে সেদিকে পরিচালনা করেন, যেদিকে আল্লাহ তা’আলা চান। তারা বলল, আমরা যে আওয়াজ শুনতে পাই তার তাৎপর্য কি?রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা হচ্ছে ফেরেশতার হাকডাক। এভাবে হাকডাক দিয়ে সে মেঘমালাকে তার নির্দেশিত স্থানে নিয়ে যায়। তারা বলল, আপনি সত্য বলেছেন। তারা আবার বলল, আপনি আমাদের বলুন, ইসরাঈল ইয়াকুব (আঃ) কোন জিনিস নিজের জন্য হারাম করেছিলেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তিনি ইরকুন নিসা (স্যায়াটিকা) রোগে আক্রান্ত ছিলেন কিন্তু উটের গোশত ও এর দুধ ছাড়া তার উপযোগী খাদ্য ছিল না। তাই তিনি তা হারাম করে নিয়েছিলেন। তারা বলল, আপনি সত্য বলেছেন।

সহীহঃ সহীহাহ (১৮৭২)

আবূ ঈসা বলেন,এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

ছোটবেলায় মেঘের ডাক শুনলেই জানতাম বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা আছে। মেঘ ডাকত আর মণে হত এই গরমে একটু শান্তি পাব ঠাণ্ডা হবে প্রকৃতি গরমটা একটু কমবে। মা মাঠে ফুটবল খেলতে যাব। আনন্দে মেতে থাকতাম। আস্তে আস্তে যানতে পারলাম মেঘে জাঁকলে নাকি ফেরেশতা চিল্লায়। আমি আজ পর্যন্ত আকাশে একজন ফেরেশতা দেখলাম না। না দেখলাম চেহারা। বিদ্যুতের আলোর জল্কানি ছাড়া চোখে তেমন কিছুই দেখলাম না। তাহলে মেঘের ড্যাকের সাথে ফেরেশতার চিল্লানির সম্পর্ক কোথায়?বা আদৌ কি এই মেধের ডাক মানে ফেরেশতাদের চিল্লাচিল্লির শব্দ?যদি তাই হয় তাহলে নিশ্চয়ই ফেরেশতারা তাঁদের অধিকার আদায় করতে মিটিং বসিয়ে চেঁচামেচি করছে।