রাজীব হায়দার বা জাফর মুন্সীর লাশ আমরা দেখতে চাইনা

আর একটা রাজীব হায়দার বা জাফর মুন্সীর লাশ আমরা দেখতে চাইনা। আমরা বাঙ্গালীরা জাতযোদ্ধা। যুদ্ধ ছাড়া বাঙ্গালী কিছুই বোঝেনা। অধিকার কেউ কাউকে এমনিতে দেয়না। অধিকার কেড়ে নিতে হয়। তাই আসুন, আজ থেকেই নিই প্রতিশোধের অঙ্গীকার। দেশ থেকে রাজাকার যেমন তাড়াব, তেমনি জামাত শিবির নামক সকল জঞ্জালও সরাবো।

আর ঘর থেকে যদি আপনাকে মানা করে, তবে বলুন আমরা সবাই ফিরে আসবো তবে এই দেশটাকে আগে বাঁচাবো। রাজীব ও জাফর মুন্সীর রক্তের শপথ করে বলছি এই দেশ থেকে জামাত শিবির সহ সকল রাজাকার এবং তাদের সকল অর্থনৈতিক উৎস ধ্বংস করে দেবো। তারা ৬ জন তরুন। ভার্সিটি তে পড়ুয়া ছেলেটি বেশ চটপটে। চুপচাপ থাকে মেডিকেলে পড়া ছেলে টি। চশমার ফাক দিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত চোখের ঝিলিক। কমবয়সের দুজন বিবিএ ছাত্র। পিনিক করা দুই বোহেমিয়ান ও এসেছে আজ। 

তারা সবাই চুপ। তাদের চোয়াল শক্ত। সহযোদ্ধার মৃত্যুর প্রতিশোধের শপথ নিলো তারা। দেশের আবর্জনা সুশীলেরা পরিষ্কার করবে না কখনোই, নাক চেপে গুলশান বনানী হাকাবে।
জামাত শিবির নামক আবর্জনা পরিষ্কার করার শপথ নিয়ে তারা সেন্ট্রাল জেলে এমবুশ করলো। মারা পড়লো প্রথম সারির রাজাকার রা। নিহত হল মেডিকেল পড়ুয়া ছেলেটি। গা ঢাকা দিলো বাকি যোদ্ধা রা। গভীর রাতে সহযোদ্ধার কবরের কাছে গিয়ে ডুকরে কাদলো।

স্বপ্ন দেখি তেমন তরুনদের। সময়ের প্রয়োজনে তারা হয়তো আসবে। আবর্জনা পরিষ্কার করবে, কলংক মুক্ত করবে প্রজন্ম কে। জনপ্রিয়তা কিংবা খ্যাতির মোহ তাদের স্পর্শ করবে না। যাদের মানুষ ধারন করবে হৃদয়ে।

শাহবাগের কাছেই পিজি হাসপাতালে আছে গু.আজম। ঢাকায় যারা আছেন। প্রস্তুত হোন। গু.আযমকে দিয়েই শুরু হোক। রক্তের বদলে রক্ত চাই। জামাত শিবির রাজাকারের ঠাঁই নাই। আর যারা বলবেন গান্ধিগিরি করতে তাদের বলতে চাই। শুধুমাত্র গান্ধিজী ব্রিটিশ তাড়ায়নি। ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, ভগৎ সিং, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত সহ অনেকেই প্রাণ দিয়েছিলেন। আর এই বাংলাদেশেরই সন্তান ছিলেন সূর্যসেন, প্রীতিলতাসহ আরোও অনেকে। তাদের কথা ভেবে এবং সেই বিপ্লবী দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে চলে আসুন রাজপথে। এবার যুদ্ধের সময়। ডাক এসেছে শহীদের মিছিল থেকে। আবার যুদ্ধ শুরু।